১২ জেলায় হাই-টেক পার্ক, সহযোগিতা বাড়াবে ভারত
বাংলাদেশের ১২টি জেলায় হাই-টেক পার্ক স্থাপন এবং দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে সহযোগিতা করবে ভারত।
আজ সোমবার বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে ভারতীয় হাই-কমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা বলেন।
ভারতীয় হাই-কমিশনার দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও দৃঢ়করণ এবং আইসিটি সেক্টরসহ অন্যান্য খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়ানোর বিষয়েও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এর আগে আজ সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে ভারতীয় হাই-কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী পৌঁছালে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অসামান্য অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস পেয়েছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে আইসিটি সেক্টরে ভারতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশের ১২টি জেলায় হাই-টেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পে ভারত সরকার ঋণ প্রদান করছে। এর মধ্যে আটটি পার্ক স্থাপনের কাজ আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার (বিডিসেট) নামীয় আরেকটি প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের ছয়টি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, হাই-টেক পার্ক এবং শেখ কামাল আইটি ট্রেইনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হবে। এখান থেকে আগামী দুই বছরে ২৪০০ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে। ইন্টারনেট অব থিংস, মেশিন লার্নিং, রোবোটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, এক্সটেনডেড রিয়ালিটিসহ অন্যান্য উচ্চতর বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এ ছাড়া ৩০ জনকে ছয় মাসের জন্য ভারতে আইসিটির ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল এডুট্রেইনমেন্ট সেন্টার স্থাপনের লক্ষ্যে আরেকটি প্রকল্প চূড়ান্ত হওয়ার পর্যায়ে রয়েছে। প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬৪টি স্থানে ডিজিটাল এডুট্রেইনমেন্ট সেন্টার স্থাপনের বিষয়ে উভয় দেশ একসাথে কাজ করবে, যেখানে একইসাথে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং বিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া স্টার্ট-আপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশ ও ভারতের ৫০টি করে স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠান অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে দেশে প্রথম বারের মতো স্থাপন করা হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত আইটি এক্সিলারেটর (বিআইটিএ)। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে ৬৪টি জেলায় ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার’ স্থাপন করা হচ্ছে। একইসাথে প্রতিটি জেলায় আইটি এক্সিলারেটরও স্থাপন করা হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন এবং মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে লাইটনিং দ্য ফায়ার অব আর্ট অ্যান্ড ফ্রিডম শীর্ষক চিত্রপ্রদর্শনী শিগগিরই কলকাতা ও দিল্লিতে আয়োজন হবে।
মতবিনিময় অনু্ষ্ঠানে আইসিটি বিভাগ ও বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা এবং ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।