অসহিষ্ণুতায় প্রতিক্রিয়া জানালেন গুগলের প্রধান নির্বাহী
সারা বিশ্বেই এখন চলছে অস্থিরতা। সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এসব অস্থিরতা ছড়িয়ে দিচ্ছেন রাজনৈতিক নেতারা। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক সময়ে উসকানিমূলক রাজনৈতিক বক্তব্য নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে কথাবার্তা, লেখালেখি চলছে। তবে প্রযুক্তি বিশ্বের হর্তাকর্তারা শান্তির বার্তাই পৌঁছে দিচ্ছেন সবার কাছে।
যেমন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের বিরোধিতা করে অ্যালফাবেটের নির্বাহী চেয়ারম্যান এরিক শ্মিট যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক নেতাদের আরো সচেতনভাবে বক্তব্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গও। তিনি মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
এবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাই অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুন্দর পিচাই অভিবাসী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন।
মিডিয়াম ডটকমের জন্য লেখা এক নিবন্ধে পিচাই লিখেছেন, ‘লাখ লাখ বার বলা হয়েছে, আমেরিকা হচ্ছে সুযোগের ভূমি (ল্যান্ড অব অপরচুনিটি)। লাখ লাখ অভিবাসীর জন্য এটা কোনো অবাস্তব ধারণা নয় বরং এর সত্যিকারের উদাহরণ আমরা এখানে পেয়েছি। তাই যখন দেখি চারদিকে অসহিষ্ণুতা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে সেটা আমাদের হৃদয় ভেঙে দেয়। বলা হয়, আমাদের দেশটি (যুক্তরাষ্ট্র) কিছু মানুষের অবদান ছাড়া আরো ভালো হতো। আর সেসব মানুষকে আলাদা করা হয় তাঁদের ধর্ম, বর্ণ এবং তাঁরা কোত্থেকে এসেছেন তার ভিত্তিতে।’
নিজের প্রতিষ্ঠান গুগলের কথা উল্লেখ করে পিচাই বলেন, ‘গুগলে নানা ধর্মের, বর্ণের ও সংস্কৃতির মানুষ একত্রে কাজ করে।’
নিজের নিবন্ধে পিচাই লিখেছেন, ‘প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজেদের কর্মপরিবেশ নিয়ে আরো সচেতনভাবে কাজ করতে হবে। যাতে সবাই মিলেমিশে কাজ করতে পারে।’
সবশেষে পিচাই লিখেছেন, ‘আমি ভাবছিলাম লেখাটি কোথায় প্রকাশ করব। কারণ এই লেখাটা অসহিষ্ণুতার এই বিতর্ক হয়তো আরো উসকে দেবে। কিন্তু আমার মনে হয়েছে বিষয়টি নিয়ে আমাদের সবারই কথা বলা উচিত, বিশেষ করে যারা এখনো এ ধরনের আক্রমণের শিকার হইনি।’
এর আগে ৯ ডিসেম্বর মুসলমানদের পক্ষে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন মার্ক জাকারবার্গ। তিনি বলেন, মুসলমানদের রক্ষার জন্য তিনি লড়াই করে যাবেন এবং মুসলমানদের জন্য শান্তিপূর্ণ এবং নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখার চেষ্টা করবেন।
৭ ডিসেম্বর ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন অ্যালফাবেটের নির্বাহী চেয়ারম্যান এরিক শ্মিট। তিনি বলেছিলেন, রাজনৈতিক নেতাদের মানুষের অগ্রগতি এবং সহিষ্ণুতা নিয়ে লড়াই করা উচিত।