হ্যাকিংয়ের কবলে পড়লে সাবধান করবে মাইক্রোসফট
হ্যাকিংসহ বিভিন্ন সাইবার অপরাধ থেকে বাঁচতে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারগুলোর কাছে আশ্রয় খোঁজেন অনেকে। তবে সাইবার নিরাপত্তার ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে বহুলাংশেই ব্যর্থ এসব সফটওয়্যার।
নিরাপত্তা জোরদারের দিকে ব্যবহারকারীদের সচেতন করতে মাইক্রোসফট নিয়ে এলো অভিনব এক ফিচার। সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে এই খবর।
অ্যান্টিভাইরাস থেকে শুরু করে অনলাইন নিরাপত্তাদানকারী প্রতিষ্ঠান সব সময় নিরলসভাবে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তবুও হ্যাকাররা এমন কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা ভেঙে ঠিকই হ্যাক করে নিচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য।
সেদিক বিবেচনা করেই মাইক্রোসফট তাদের উইন্ডোজ ডিফেন্ডার সফটওয়্যারে যুক্ত করেছে নতুন এক ফিচার। এই ফিচারের মাধ্যমে মাইক্রোসফট তাদের ব্যবহারকারীদের হ্যাকিংয়ের কবলে পড়লে সতর্ক করে দেবে তৎক্ষণাৎ। এর ফলে মাইক্রোসফট ব্যবহারকারী হ্যাকিং থেকে রক্ষা পেতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
তবে উইন্ডোজ ডিফেন্ডারের এই ‘অ্যাডভান্সড থ্রেট প্রটেকশন’ (এটিপি) হ্যাকিং বন্ধে প্রয়োজনীয় সাহায্য জোগাবে না। সতর্ক করে দেওয়া পর্যন্তই তার কার্যসীমা।
মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ১০০ কোটি উইন্ডোজ ডিভাইস, আড়াই ট্রিলিয়ন ওয়েবসাইট এবং ১০ লাখ ফাইল পর্যালোচনা করছে। কখনো সাইবার হুমকি পেলেই তারা তাদের ব্যবহারকারীর কাছে নোটিফিকেশন পাঠিয়ে দেবে।
বিভিন্ন কারণে নিরাপত্তার ব্যাঘাত ঘটলেই এই নোটিফিকেশন পাবেন ব্যবহারকারী। যেমন : কোনো অবিশ্বস্ত আইপি অ্যাড্রেস থেকে ব্যবহারকারীর নিজস্ব নেটওয়ার্কে প্রবেশ করতে চাইলে তা ধরে ফেলবে এটিপি। একই সঙ্গে এ ধরনের ঝুঁকিতে থাকা অন্যান্য ব্যবহারকারী থাকলে তাদের কাছেও পৌঁছে যাবে সতর্কবার্তা।
মাইক্রোসফট সাইবার ঝুঁকি এড়াতে তাদের সর্বশেষ অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারের প্রতি পরামর্শ দিচ্ছে। এদিকে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, পেন্টাগন নিরাপত্তার খাতিরে তাদের ৪০ লাখ পিসি উইন্ডোজ ১০-এ আপগ্রেডের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।