ইউরোপে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের ওপর বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকবে, বলল মেটা
ইউরোপের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের ওপর বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকবে বলে জানিয়েছে মেটা। আজ মঙ্গলবার (২২ আগস্ট)এ কথা বলেছে প্রতিষ্ঠানটি। তারা বলেছে, তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়মনীতি ও কঠোর নিরাপত্তা মেনে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
একটি যুগান্তকারী ইইউ আইনের অধীনে, ডিজিটাল জায়ান্টরা ব্যবহারকারীদের সুরক্থা দিতে আরও আক্রমণাত্মক পুলিশ কনটেন্ট দিতে বাধ্য হবে। বিশেষ করে ঘৃণা মিশ্রিত বক্তব্য ও গুজব ঠেকাতে এটি করা হবে।
সংবাদ সংস্থা এএফপি এসব তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদন বলছে, ওয়েবের ১৯টি বৃহত্তম প্ল্যাটফর্মকে এই নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে। আগামী সপ্তাহ থেকে নতুন নিয়মগুলো ফেসবুকের মূল মেটা, অ্যামাজন, অ্যাপল, গুগল, মাইক্রোসফ্ট, টিকটক এবং টুইটারসহ, পুনঃব্র্যান্ড করা এক্সকে মেনে চলতে হবে। অন্যথায়, জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে৷
সমস্ত চোখ থাকবে বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্কের দিকে, যিনি সম্প্রতি এক্সের (পুরাতন টুইটার) মালিকানা নিয়েছেন এবং মালিকানা নেওয়ার পর থেকে হঠাৎ-হঠাৎ সাইটে অনুমোদিত ভাষার অনেক নিয়ম পরিবর্তন করেছেন। এটি যদি আপত্তিকর, ঘৃণা এবং ভুল তথ্যও প্রদান করে তাতেও। যার অনেকগুলো ইইউয়ের নতুন নিয়মের সরাসরি বিরোধিতা করে।
মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ যে পরিবর্তনগুলোর কথা বলেছেন, তার মধ্যে একটি—ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের ইউরোপীয় ব্যবহারকারীদের প্রোফাইলিংয়ের ওপর ভিত্তি করে কনটেন্ট তৈরি নয়, এগুলো ইইউয়ের ডিজিটাল পরিষেবা আইন (ডিএসএ) অনুযায়ী।
ক্লেগ একটি ব্লগ পোস্টে বলেছেন, ‘আমরা এখন আমাদের ইউরোপীয় গোষ্ঠীকে রিল, স্টোরি অনুসন্ধান এবং ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের অন্যান্য অংশে কনটেন্ট দেখার এবং আবিষ্কারের বিকল্প হিসেবে দিচ্ছি, যদিও এই সিস্টেমগুলো ব্যবহারের র্যাংক মেটা করেনি।' তিনি আরও বলেন, ‘উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা যাদের অনুসরণ (ফলো) করেন, তাদের স্টোরি ও রিলস দেখতে পারবেন। যেগুলো নতুন থেকে পুরোনো পর্যায়ক্রমে র্যাংক করা।’