বিএনপির অগ্রযাত্রা আর ঠেকিয়ে রাখা যাবে না : মির্জা আব্বাস
বিএনপির অগ্রযাত্রা কোনো পরিস্থিতিতে আর ঠেকিয়ে রাখা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আজ শনিবার এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে সংগঠনের প্রয়াত সভাপতি শফিউল বারী বাবুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
মির্জা আব্বাস বলেন, একদিন ইনশা আল্লাহ গুলির আওয়াজ থাকবে না, পিস্তলও থাকবে না। জনগণের চাপের মুখে এই সরকারের পতন ঘটতেই হবে। যে দলে বাবুদের (শফিউল বারী বাবু) মতো কর্মী আছে, যেই দলে বাবুদের মতো নেতা আছে, যে দলের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। যে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, যে দলের নেতা আমাদের দেশনায়ক তারেক রহমান সেই দলকে কোনো পরিস্থিতিতে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। আমি বলতে চাই, যোগ্য নেতাদের যোগ্য জায়গায় স্থান দিয়ে, তাদের জায়গা মতো আনতে পারলে, ইনশা আল্লাহ এই দল আবারো সুদূঢ় হয়ে উঠে দাঁড়াবে এবং এই সরকারের বিপক্ষে আমরা লড়তে পারব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, করোনা পরিস্থিতি সরকারের জন্য একটা শাপে বর হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতির কথা বলে আমাদেরকে তারা সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। হয়ত অন্যরকম হয়ে যেতে পারতো এই কয়েকদিনে। এই করোনা সংক্রমণ নিয়েও এই সরকার খেলাধুলো করছে, দেশের মানুষগুলোকে নিয়ে এই সরকার খেলাধুলো করছে। আমাদের কথা বলার অধিকার নাই, আমাদের রাস্তায় চলাফেরার অধিকার নাই। আজকে আমাদের দলের এক নেতা মুক্তি পেয়েছে তিন বছর পর, ইসহাক সরকার। কোনো দোষ ছিল তাঁর, সে শুধু রাজনীতি করত। দলের এমন কোনো নেতা-কর্মী নাই, যারা জেলে যাননি। এবারো আমরা জেলে যাব, আবার যখন আমরা মুক্তি পাব, তখন পুরো দেশকে মুক্ত করে আমরা মুক্ত হব ইনশা আল্লাহ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই সরকার দুর্গতির চরম সীমায় পড়ে গেছে। সে কারণেই বলছি, আমরা যে যেখানে থাকি না কেনো আমাদের ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়াটুকু আপাতত বন্ধ রেখে, আমরা নেতৃত্বের যে নির্দেশগুলো, সেগুলো যদি সাহসের সঙ্গে রাজপথে দৃশ্যমান করতে পারি, তাহলে এই সরকার আর বেশি সময় টিকে থাকতে পারবে না। এই সরকার কিন্তু যাবে আপনারা আন্দোলন করেন আর না করেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এখন বিএনপির নেতৃত্বে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার হটানোর যে স্বীকৃতি জনগণের কাছে আপনারা চান কি না? যদি চান তাহলে দায়িত্বশীল দল হিসেবে জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে একাত্মতাবোধ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটা ধাক্কা দেন, সরকার পড়ে যাবে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় আলোচনা সভায় দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপুসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।