বিশ্বের প্রাচীনতম ৫০০ বছরের পুরানো বট গাছ!
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, ভারতের উত্তর প্রদেশের নরোরায় একটি বট গাছ রয়েছে। যা কলকাতার গ্রেট বটগাছের চেয়েও পুরানো! এই গাছটি বুলন্দশহরের নরোরা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
বোটানিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া, প্রয়াগরাজ সেন্টার, রোমানিয়ার বেব-বোলাই ইউনিভার্সিটি এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের গবেষণাগারের একদল বিজ্ঞানী এই গাছটির সন্ধান পান। তাদের মতে, গাছটির বয়স প্রায় ৪৫০-৫০০ বছর। এতোদিন ধরে কলকাতার নিকটবর্তী হাওড়ার শিবপুরে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ভারতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের অভ্যন্তরে গ্রেট বট গাছটি বিশ্বের প্রাচীনতম বট গাছ ছিল হিসেবে পরিচিত ছিল। এই গাছটি প্রায় ৩৫০ বছরের পুরানো।
নরোরার এই বট গাছটির উপরের বৃত্তটি ৪০৬৯ বর্গ মিটার জুড়ে বিস্তৃত। বিএসআই-এর জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী অধ্যাপক আরতি গর্গ জানিয়েছেন, বিশাল এই গাছের মূল গুঁড়ির পাশে মাত্র চারটি শিকড় রয়েছে, যা বেশ বিস্ময়কর। এই গাছের গুরুত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, “ভারতে বট গাছের একটি আধ্যাত্মিক, পৌরাণিক এবং ধর্মীয় তাৎপর্য রয়েছে। যা অনন্ত জীবন অথবা উর্বরতার প্রতীক। তাই বাড়ি এবং মন্দিরের চারপাশে রোপণের জন্য সুপারিশ করা হয়। এগুলি 'কল্পবৃক্ষ' নামেও পরিচিত। যার অর্থ ইচ্ছা পূরণকারী গাছ”।
বিশ্বের বৃহত্তম বটগাছের আবাসস্থল হওয়ার রেকর্ড ভারতের দখলে রয়েছে। থিম্মাম্মা মারিমানু নামে পরিচিত, অন্ধ্রপ্রদেশের এই বট গাছের আয়তন ১৯,১০৭ বর্গ মিটার। এর পরের সারিতে রয়েছে গুজরাটের কবির ভাদ গাছ (১৭,৫২০ বর্গমিটার) এবং উত্তরপ্রদেশের মাঝিতে অবস্থিত দৈত্য বটগাছ (১৬,৭৭০ বর্গমিটার)।
সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া