অকুস চুক্তির ফলে পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু হতে পারে : উত্তর কোরিয়া
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক সাবমেরিন চুক্তি বা অকুস (এইউকেইউএস) চুক্তির নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। কিম জং উনের দেশ বলছে, এই চুক্তির ফলে নতুন করে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতা শুরু হতে পারে। আজ সোমবার এ শঙ্কার কথা জানায় উত্তর কোরিয়া।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক সাবমেরিন চুক্তিটিই অকুস চুক্তি। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অকুস চুক্তি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কৌশলগত ভারসাম্যকে বিপর্যস্ত করবে।’
এই চুক্তি অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের প্রযুক্তি দেবে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের প্রভাব মোকাবিলার প্রচেষ্টা হিসেবে এই চুক্তিকে দেখা হচ্ছে। গত সপ্তাহে অকুস চুক্তি ঘোষণা করা হয় এবং এতে ক্রুজ মিসাইল, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য প্রযুক্তিও থাকবে।
এদিকে এ চুক্তিতে ক্ষুব্ধ হয়েছে ফ্রান্স। ত্রিদেশীয় এই নিরাপত্তা চুক্তির আগে ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ফ্রান্সের সাবমেরিন-সংশ্লিষ্ট একটি চুক্তি হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া ওই চুক্তি বাতিল করায় শত কোটি ইউরো অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ফ্রান্স। এ কারণে ত্রিদেশীয় নিরাপত্তাচুক্তি নিয়ে ফ্রান্স ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছে।
প্যারিস বলেছে, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যেভাবে না জানিয়ে চুক্তিটি করেছে, তাতে ফ্রান্স অত্যন্ত অসন্তুষ্ট। এর প্রতিক্রিয়ায় গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত নিজ দেশের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠায় ফ্রান্স। বর্তমান পরিস্থিতি পুনরায় মূল্যায়ন করতে রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে ফ্রান্স উল্লেখ করেছে।
এর জের ধরে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে একটি পূর্বনির্ধারিত সামরিক সংলাপ বাতিল করেছেন ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এই সপ্তাহে লন্ডনে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেসের সঙ্গে ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ফ্লোরেন্স পার্লির বৈঠক বাতিল করা হয়েছে।
তবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ওই চুক্তি নিয়ে ফ্রান্সের চিন্তার কিছু নেই। ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ‘খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক’ রয়েছে। এই সম্পর্ক ‘অনেক গুরুত্ব’ বহন করে বলে মনে করেন তিনি।