অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগর থেকে ৩২ বাংলাদেশি উদ্ধার
অবৈধভাবে ইউরোপে পাড়ি জমানোর সময় ৩২ বাংলাদেশিসহ ৮১ জনকে উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী। সংবাদ সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে আরব নিউজ জানায়, গতকাল শনিবার ভূমধ্যসাগর থেকে এ অভিবাসন প্রত্যাশীদের উদ্ধার করা হয়।
তিউনিসিয়ার নৌবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উদ্ধার করা ব্যক্তিদের মধ্যে ৩২ বাংলাদেশি ছাড়াও ৩৮ জন মিসরের, ১০ জন সুদানের এবং এক জন মরক্কোর নাগরিক।
আরব নিউজের খবরে বলা হয়, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের বয়স ২০ থেকে ৩৮ বছরের মধ্যে। তাঁরা তিউনিসিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূল থেকে ছয় কিলোমিটার দূরবর্তী লিবিয়ার আবু কাশামা গ্রাম থেকে যাত্রা শুরু করেন। তাঁদের ব্যবহৃত নৌকাটি সমুদ্র যাত্রার উপযোগী না হওয়ায় যাত্রাপথেই নৌকাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধার করা ব্যক্তিদের মধ্যে এক জন নারীও ছিলেন।
খবরে আরও বলা হয়, তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপের দূরত্ব প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। এ পথটি মানব পাচারের জন্য বহুল ব্যবহৃত। এ ছাড়া লিবিয়া থেকে ইতালির উপকূলে পাড়ি জমানোর পথটি মানবপাচারের জন্য জনপ্রিয়। এ দুই পথেই অভিবাসীদের ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়া হয়। এটি ইউরোপে পাড়ি জমানোর সবচেয়ে ভয়ংকর পথ হলেও, অভিবাসনপ্রত্যাশীরা একটু ভালো জীবনযাপনের আশায় ঝুঁকিপূর্ণ এ পথটিই বেছে নেয় বলে খবরে উল্লেখ করা হয়।
গত মাসে লিবিয়া থেকে ইউরোপে পাড়ি জমানোর সময় ৫৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তথ্য বলছে—২০২১ সালে ভূমধ্যসাগরে প্রায় দুই হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন, যা ২০২০ সালে ছিল এক হাজার ৪০১ জন।