অর্পিতার আরেক বাসায় ২০ কোটি রুপি ও সোনার বার
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে আরও ২০ কোটি রুপি নগদ অর্থ ও সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, একটি শেলফে পাওয়া গেছে এসব অর্থ।
গতকাল বুধবার দুপুরে কলকাতার বেলঘরিয়ার ক্লাব টাউন আবাসনে যান দেশটির কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কর্মকর্তারা। বিকেল নাগাদ ওই অর্থের সন্ধান পাওয়া যায়।
এর আগে গত শুক্রবার টালিগঞ্জের একটি অভিজাত আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি টাকা ও গয়না, বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে ইডি। এরপর জানা যায়, বেলঘরিয়াতেও ফ্ল্যাট রয়েছে পার্থ-ঘনিষ্ঠের। বুধবার সেখানে অভিযান চালায় ইডি। প্রচুর অর্থের সন্ধান পাওয়ার পর ব্যাংক কর্মকর্তাদের টাকা গণনার যন্ত্র নিয়ে দ্রুত যেতে বলা হয়।
সূত্র বলেছে, বুধবার অভিযান চালিয়ে আরও কিছু নথি পেয়েছে তাঁরা। এর আগে একটি ডায়েরি পেয়েছিল কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ওই ডায়েরির সূত্র ধরে তদন্ত আগায় ইডি। সে সময় ইডি বলেছিল, তারা বেশ কিছু চুক্তিপত্র পেয়েছে। এগুলোর সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জড়িত।
ইডি কর্মকর্তারা তাঁদের তদন্তের অংশ হিসেবে অর্পিতার বাড়িতে হানা দেন। জিজ্ঞাসাবাদে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় তাঁর সব সম্পত্তির তথ্য দিয়েছেন। বেলঘরিয়ায় তাঁর কয়েকটি ফ্ল্যাট এবং রাজডাঙ্গায় (শহরের দক্ষিণাঞ্চলে) আরেকটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ভারতের সংবাদমাধ্যম পিটিআই জানায়, চাবি খুঁজে না পাওয়ায় কর্মকর্তাদের ফ্ল্যাটের প্রধান দরজা ভেঙে ফেলতে হয়।
অর্পিতা মুখোপাধ্যায় তদন্তকারীদের বলেছেন, রাজ্যের বিশাল শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি থেকে এ অর্থ পেয়েছেন তাঁরা। যে ঘরে নগদ অর্থ রাখা হয়েছিল সেখানে কেবল পার্থ ও তাঁর লোকদের প্রবেশাধিকার ছিল। প্রতি ১০ দিন পরপর সেখানে যেতেন তাঁরা।
অর্পিতা তদন্তকারীদের বলেছেন, ‘পার্থ আমার বাড়িটিকে মিনি-ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করেছিল।’
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, বেলঘরিয়ার অর্পিতার ফ্ল্যাটে এখন পর্যন্ত ২০ কোটি রুপি গণনা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর সোনার বার এবং রৌপ্য মুদ্রা।
গত শনিবার পার্থ ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর একদিন পর অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি টাকা ও গয়না, বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে ইডি। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত অর্থ পাচারের মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ৩ আগস্ট পর্যন্ত তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে থাকবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।