আদানির জালিয়াতি : অভিযোগ তদন্তে কমিটি করে দিল ভারতের সর্বোচ্চ আদালত
ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির শিল্পগোষ্ঠীর জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে একটি প্যানেল কমিটি গঠন করে দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) কমিটি গঠন করে দেশটির শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবিকে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। খবর রয়টার্সের।
গত ২৪ জানুয়ারি নিউইয়র্ক ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি শিল্পগোষ্ঠী নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ, ভারতের এই ধনকুবেরের কোম্পানি আদানি গ্রুপ শেয়ার নিয়ে জালিয়াতি ও হিসাব-নিকাশের ক্ষেত্রে ধোঁকাবাজি করেছে। এরপর থেকেই আদানি কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম কমছে। এমনকি, ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশের আগে থেকেই আদানি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে তদন্ত করছে সেবি।
আদানি গ্রুপের অধীনে রয়েছে মোট সাতটি কোম্পানি। হিনন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনের পর থেকে এসব কোম্পানি হারিয়েছে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার। তবে, হিন্ডেনবার্গের অভিযোগকে অস্বীকার করে আসছে শিল্পগোষ্ঠীটি।
প্রতিবেদনে রয়টার্স জানায়, আদানি শিল্পগোষ্ঠী হেরফের করে শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে কিনা, লেনদেনের তথ্য সঠিকভাবে দিয়েছে কিনা এবং তাদের জালিয়াতির কারণে সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা, তা তদন্ত করতে সেবিকে নির্দেশ দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ, আদানি গ্রুপ বিদেশি সত্তা ও শেল কোম্পানি দেখিয়ে নিজেদের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার কিনেছিল। এর মাধ্যমে তারা ভারতীয় আইন লংঘন করেছে। এমনকি, নামে-বেনামে বহু লেনদেন করেছে তারা। এর জবাবে আদানি বলেছিলেন, ‘সকল সংশ্লিষ্ট পক্ষের লেনদেন সঠিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধান বিচারক ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে তিনজন বিচারকের দ্বৈত বেঞ্চ আদানি গ্রুপের জালিয়াতি তদন্তে এ রায় দেন। রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন ধনকুবের গৌতম আদানি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘সত্যের জয় হবে। এর মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় আসবে।’
ভারতের সর্বোচ্চ আদালত যে কমিটি করেছে, এর মধ্যে রয়েছেন মোট ছয়জন তদন্তকারী। দুই মাসের মধ্যে তাদের তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।