আদানি গ্রুপের সংশ্লিষ্টতা, পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করলেন কবি
আদানি গ্রুপ প্রধান পৃষ্ঠপোষক হওয়ায় পুরস্কার নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ভারতের তামিলনাড়ুর এক নারী কবি। ওই নারী কবির নাম সুকির্থা রানি। তামিলনাড়ু রাজ্যের রানিপেত জেলার একটি সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন এই কবি। এক প্রতিবেদনে গতকাল শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফইন্ডিয়া।
গণমাধ্যমটিকে সুকির্থা রানি বলেন, ‘এই প্রোগ্রামের পুরস্কার নেওয়া আমার নৈতিকতার বিপরীত। আমার লেখা ও দর্শন দিয়ে আমি এতটুকু এগিয়েছি। তবে, এটি আমার সম্পূর্ণ বিপরীত।’
‘দেবী অ্যাওয়ার্ড’ নামের অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ভারতের সংবাদপত্র দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। গত বুধবার চেন্নাইয়ের একটি হোটেলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। এতে পুলিশের সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কিরণ বেদীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
দ্য টেলিগ্রাফইন্ডিয়া বলছে, চলতি বছরের দেবী অ্যাওয়ার্ডের মূল স্পন্সর আদানি গ্রুপ। এ ছাড়া ভেলর ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি ও আহুজাসন্সও স্পন্সর করে।
পুরস্কার না নেওয়ার বিষয়টি সর্বপ্রথম সামনে আসে জাস্টিস নিউজ নামে একটি সংবাদ মাধ্যমে। সেখানে সুকির্থা রানি বলেন, ‘দেবী-২০২৩ অ্যাওয়ার্ডের জন্য আমিসহ ১২ নারীকে মনোনীত করা হয়। নিজ নিজ কাজের ক্ষেত্রে অবদান রাখায় এ পুরস্কার দেওয়া হয়। মনোনয়নের জন্য বিচারকদের বিশেষজ্ঞ প্যানেল ছিল। আমি বিচারকদের রায়কে সম্মান করি, আমাকে মনোনীত করায়। মেইলের মাধ্যমে আমি তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছি। এমনকি, পুরস্কার না নেওয়ার কথাও বলেছি। মূলত আদানি গ্রুপ সংশ্লিষ্টতা থাকায় আমি এমনটা করেছি।’
দলিত সম্প্রদায়ের শিক্ষায় ভূমিকায় রাখায় সুকির্থা রানিকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম না এর মূল স্পন্সর আদানি গ্রুপ। ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখে বিষয়টি সম্পর্কে আমি জ্ঞাত হয়। লেখক হিসেবে আমি এমন একটি অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হওয়াকে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করেছি, যার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিল আদানি গ্রুপ। কারণ, এটি আমার নীতি, আমার লেখার অংশ এবং আমার দর্শনের বিরোধী।’