আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার বেদনাদায়ক ও বিপজ্জনক : টনি ব্লেয়ার
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারকে ‘বেদনাদায়ক, বিপজ্জনক ও অপ্রয়োজনীয়’ বলে অভিহিত করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার।
তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের পর দেওয়া প্রথম বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেছেন। খবর বিবিসি।
আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ‘অনন্ত যুদ্ধের অবসান’-এর মতো একটি ‘অহেতুক স্লোগানকে’ মাথায় রেখে, বলেছেন ব্লেয়ার।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আল-কায়েদার হামলার পর মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সেনারাও আফগানিস্তানে অভিযানে নামে; সেসময় ব্লেয়ার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এখন মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের আফগানিস্তান ছেড়ে আসা বিভিন্ন জিহাদি গোষ্ঠীকে ‘উল্লসিত’ করবে বলেও ধারণা টনি ব্লেয়ারের।
‘যাদের প্রতি আমাদের দায় আছে, তাদের সরিয়ে নেওয়া ও আশ্রয় দেওয়া আমাদের কর্তব্য। যে আফগানরা আমাদের সহায়তা করেছিল, আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল এবং যাদের আমাদের প্রতি দাবি আছে, তাদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে,’ নিজের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে এমনটাই বলেছেন ব্লেয়ার।
যাদের আফগানিস্তান থেকে সরানো দরকার, তাদের না সরানো পর্যন্ত আফগানিস্তানে অবস্থান করা যুক্তরাজ্যের ‘নৈতিক দায়িত্ব’, বলেছেন তিনি।
রোববার যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের বাইরে হুড়োহুড়িতে সাত বেসামরিক আফগান নিহত হয়েছে।
নিজের পোস্টে ব্লেয়ার লেখেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি রাজনৈতিক কারণে নেওয়া হয়েছে, ব্যবহার করা হয়েছে ‘অনন্ত যুদ্ধের অবসান’ স্লোগান। যুক্তরাষ্ট্রের এখনকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় এই স্লোগানটি ব্যবহার করেছেন।
‘আমাদের এটা (সেনা প্রত্যাহার) দরকার ছিল না, আমরাই এটা বেছে নিয়েছি,’ লিখেছেন টনি।
যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছরের ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়েছিল। যদিও বাইডেন সম্প্রতি বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি থেকে নাগরিক, কূটনীতিক ও সহযোগীদের সরানো শেষ না হওয়ায় এই সময়সীমা পার হওয়ার পরও আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা থেকে যেতে পারে।