আফগান সরকার পতনের নেপথ্যে ‘দুর্নীতি ও জনগণের অনাস্থা’
আফগানিস্তান সরকারের পতনের সঙ্গে দেশটির সরকারের ওপর জনগণের আস্থার অভাব এবং দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দুর্নীতির যোগসূত্র দেখছেন আফগানিস্তান বিষয়ক জাতিসংঘের সাবেক বিশেষ দূত পিটার গ্যালব্রেইথ। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
পিটার গ্যালব্রেইথ বলেন, ‘আফগানিস্তানের সরকারি বাহিনীর তুলনায় তালেবান বাহিনী অনেক ছোট। সরকারি বাহিনীর মতো তাদের কাছে আধুনিক কোনো অস্ত্রশস্ত্রও নেই। এমনকী তাদের কোন বিমান বাহিনীও নেই।’
‘কিন্তু, সরকারে এত দুর্নীতি হয়েছে যে, পুলিশ সদস্য ও সৈনিকেরা মাসের পর মাস বেতন পাননি। তাঁদের ঠিকমতো গুলি ও খাবার সরবরাহ করা হয়নি। এর মধ্যেই যখন পতন শুরু হয়, ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে—তাঁদের কেউ তালেবানের বিরুদ্ধে লড়তে চান না। এবং আগেই পরাজয় নিশ্চিত হয়ে গেছে, এমন যুদ্ধে তাঁরা মারা যেতে চান না’, যোগ করেন পিটার গ্যালব্রেইথ।
পিটার গ্যালব্রেইথ আরও বলেন, আফগানিস্তানে ২০ বছর ধরে চলা সামরিক অভিযানের ব্যর্থতার জন্য কোন মার্কিন প্রেসিডেন্ট দায়ী, তা নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই।
পিটার মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তান সমস্যা শুরু হয়েছে মূলত যখন থেকে স্থানীয় নর্দান জোটের হয়ে তালেবানকে সরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করা শুরু করে।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দখল নিয়ে প্রেসিডেন্ট প্যালেসের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর এরই মধ্যে যুদ্ধ শেষের ঘোষণা দিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান।