জাপানের ক্ষমতাসীন দল এবং এর জোট শরিকেরা গতকাল রোববার সংসদীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে। এ জয় সদ্যপ্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে হত্যার পর বেশ অর্থপূর্ণ। 

বার্তা সংস্থা এপির বরাতে সংবাদ সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং এর জুনিয়র কোয়ালিশন পার্টনার কোমেইটো কম শক্তিশালী উচ্চকক্ষের অর্ধেক আসনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ ২৪৮ আসনের নির্বাচনে তাদের সম্মিলিত আসন ১৪৬-এ উন্নীত করেছে।

এর ফলে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ২০২৫ সালের নির্ধারিত নির্বাচন পর্যন্ত বাধা ছাড়াই জাপানের ক্ষমতায় থাকতে পারবেন।

এ জয় কিশিদাকে দীর্ঘমেয়াদী নীতি, যেমন—জাতীয় নিরাপত্তার স্বাক্ষর। কিন্তু, এখনও অস্পষ্ট ‘নতুন পুঁজিবাদী’ অর্থনীতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি যুদ্ধোত্তর শান্তিবাদী সংবিধান সংশোধনে তাঁর দলের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ করে দেবে।

কিশিদা নির্বাচনে বড় জয়কে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে, শিনজো আবেকে হারানোয় তাঁকে ছাড়া দলকে ঐক্যবদ্ধ করা কঠিন হবে বলে মনে করেন।

রোববার শেষ দিকে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশিদা পুনর্ব্যক্ত করেন, ‘দলীয় ঐক্য অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

কিশিদা বলেন, কোভিড-১৯-এর প্রভাব, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ এবং দাম বৃদ্ধি ঠেকানো তাঁর অগ্রাধিকার হবে।

কিশিদা জানান, তিনি জাপানের জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি সাংবিধানিক সংশোধনের জন্য চাপ অব্যাহত রাখবেন।