আরও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের দাবি ইউক্রেনের
গত সপ্তাহেই জার্মানি একটি আইরিস-টি এয়ার ডিফএন্স সিস্টেম দিয়েছে ইউক্রেনকে। যার সাহায্যে রাশিয়ার ড্রোন এবং মিসাইল আটকানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি। ফ্রান্স, ইটালি এবং অ্যামেরিকার কাছে এমন আরো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চেয়েছেন জেলেনস্কি। প্রেসিডেন্টের কথায়, ''জার্মানি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দিয়ে শুধু ইউক্রেনকে বাঁচায়নি, গোটা ইউরোপকে রক্ষা করছে। এমন আরো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রয়োজন।'' বস্তুত, জার্মানি ১৪০ মিলিয়ন ইউরোর আরো তিনটি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেবে ইউক্রেনকে।
গত সপ্তাহে একটি আইরিস-টি দেওয়া হয়েছে। অত্যাধুনিক এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আকাশে ২০ কিলোমিটার দূরে মিসাইল বা ড্রোন ট্র্যাক করতে পারে এবং ধ্বংস করতে পারে। ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ আছে এই সিস্টেমের। এর আগে অ্যামেরিকা এবং স্লোভাকিয়ার দেওয়া এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার করছিল ইউক্রেন।
এদিকে, রাশিয়া এবং ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন করেছেন জেলেনস্কি। ব্রাসেলসে ইইউ অধিবেশনে ভিডিওবার্তা পাঠিয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি বলেছেন, ইরান যে ড্রোন দিয়ে রাশিয়াকে সাহায্য করছে, তা স্পষ্ট। ইরান এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরো কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করার ব্যবস্থা করুক। বস্তুত, পশ্চিমা দেশগুলি ইতিমধ্যেই ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ইরান অবশ্য রাশিয়াকে ড্রোন দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। জেলেনস্কি বলেছেন, ''ইরান একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রকে সাহায্য করছে। সে জন্যই তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা জরুরি।''
খেরসনে রাশিয়া গণহারে বেসামরিক ব্যক্তিদের বাস্তুচ্যূত করছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলেনস্কি। তার দাবি, ওই এলাকাটি অন্যায্যভাবে দখল করেছিল রাশিয়া। তারপর ডিক্রি জারি করে তা রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়। ওই ঘোষণাও ছিল অন্যায্য। এখন সেখান থেকে মানুষদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। একাজও অনৈতিক বলে জানিয়েছেন তিনি। রাশিয়ার অবশ্য দাবি, ইউক্রেনের গোলার হাত থেকে বাঁচাতেই বেসামরিক মানুষদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। ইউক্রেন ওই অঞ্চলে হামলা চালাচ্ছে বলে রাশিয়ার দাবি।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়া ওই অঞ্চলে নতুন করে হামলার পরিকল্পনা করছে। কারণ, ইতিমধ্যেই খেরসনের বেশ কিছু অঞ্চল ইউক্রেন পুনর্দখল করেছে। এদিকে ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ভ্লাদিমির পুটিন ইউক্রেনকে ব্ল্যাকমেল করছে। এর আগে খাদ্যসংকট তৈরি করে তারা ব্ল্যাকমেল করেছে। পরমাণু চুল্লিতে আক্রমণ চালিয়েও একই কাজ করা হয়েছে। এবার ঠান্ডাকে ব্যবহার করতে চাইছে রাশিয়া।