আরেকটি শহর রুশ বাহিনীর দখলে : ইউক্রেনের গণমাধ্যম
ইউক্রেনের আরও একটি শহর দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। নোভা কাখোভকা বা নিউ কাখোভকা নামের ছোট এ শহরটি নিপার নদের তীরে অবস্থিত। ইউক্রেনের গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, নোভা কাখোভকার মেয়র ভলোদিমির কোভালেনকো বলেছেন, রুশ সৈন্যরা শহরের নির্বাহী কমিটির দখল নিয়েছে এবং শহরের বিভিন্ন ভবন থেকে ইউক্রেনের পতাকা নামিয়ে ফেলেছে।
এর আগে গতকাল রুশ বাহিনী ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মেলিতোপোল শহর দখল করে নেয় বলে জানায় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। রুশ সংবাদমাধ্যম ইন্টারফ্যাক্স ও স্পুটনিকের বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছিল।
জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে অবস্থিত মেলিটোপোল ইউক্রেনের মূল বন্দর মারিওপোলের নিকটবর্তী একটি মাঝারি আকারের শহর।
এদিকে, রুশ সেনারা কিয়েভসহ দেশটির অন্যান্য শহরগুলোতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, নিক্ষেপ করছে ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলা। পশ্চিমা সূত্রগুলো বলছে, রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন ইউক্রেনের সেনারা।
ইউক্রেনে রুশ হামলার চতুর্থ দিন
যুদ্ধের চতুর্থ দিনে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের শহরগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলা নিক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া।
আজ রোববার সকালে কিয়েভের ভাসিলকিভের তেল মজুদাগার এবং গ্যাসের পাইপলাইনে রকেট হামলা হয়েছে।
আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত কড়া কারফিউ ঘোষণা পর, কিয়েভের রাজপথে ইউক্রেন সেনাদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে।
পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন ইউক্রেনের সেনারা। এতটা প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে, তা অভিযানের সময় ভাবেনি রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় চেরনিহিভ, দক্ষিণের ওডেসা, উত্তর–পূর্বের খারকিভ এবং পূর্বাঞ্চলীয় সুমি শহরে রুশ সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেন বাহিনীর তুমুল লড়াই চলছে।
শহর রক্ষায় পেট্রল বোমা বানাচ্ছেন ইউক্রেনের নারীরা। জ্বালানি, রসদ ও খাদ্য সংকটে পড়েছে রুশ সেনারা।
তবে, ইউক্রেনের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলীয় মেলিতোপোল শহর দখলে নেওয়ার দাবি করেছেন রুশ সেনারা। আর, চেরোনবিল পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে দেখা গেছে রুশ বাহিনীর সঙ্গে যৌথ টহল দিচ্ছে ইউক্রেন সেনারা।
এ ছাড়া কয়েকজন ইউক্রেন সেনা আত্মসমর্পণ করেছেন দাবি করে ভিডিও প্রকাশ করেছে রাশিয়া।
এদিকে, যুদ্ধ থেকে বাঁচতে ইউক্রেন থেকে লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পাশের দেশগুলোর দিকে ছুটছেন।
পোল্যান্ড বলছে, ইউক্রেন থেকে প্রায় এক লাখ মানুষ তাঁদের সীমান্তে ঢুকেছে।
এ ছাড়া হাঙ্গেরি, রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়ায়ও যাচ্ছেন যুদ্ধশরণার্থীরা। জাতিসংঘ বলছে, দেড় লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।