আল-কায়েদা নেতার মাথার দাম কোটি মার্কিন ডলার!
জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদার নতুন নেতা সেইফ আল-আদেলের মাথার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মিসরের বিশেষ বাহিনীর সাবেক এই কর্মকর্তাকে ধরিয়ে দিলে বা তার তথ্য দিলে এক কোটি ডলার দেবে তারা। আজ বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছেন সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
জাতিসংঘের তথ্য মতে, জঙ্গি গোষ্ঠীটির প্রধান হিসেবে বর্তমানে দায়িত্বে রয়েছেন সেইফ আল-আদেল।
প্রতিবেদনে লন্ডন ভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি বলছে, গত বছর আফগানিস্তানের কাবুলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আল-কায়েদা প্রধান আল-জাওয়াহিরি মারা যান। এরপরেই গোষ্ঠীটির নেতৃত্বে আসেন আদেল। তবে, জাওয়াহিরির মৃত্যুর বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করেনি জঙ্গি গোষ্ঠীটি।
গত জানুয়ারিতে একজন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছিলেন, জাওয়াহিরির জায়গায় কে বসেছে তা এখনও অস্পষ্ট। তবে, আল-কায়েদা সদস্যদের বরাতে জাতিসংঘ জানিয়েছে, সেইফ আল-আদেল ইতোমধ্যে জঙ্গি গোষ্ঠীটির পরিচালনায় মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। তিনি গ্রুপটির অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাওয়াহিরির মৃত্যুর পর আল-কায়েদার ওপর চাপ বাড়ে। জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা এমন একজন কৌশলী নেতার খোঁজ করছিলেন, যিনি কি না মারাত্মক হামলাগুলোর পরিকল্পনা করতে পারবে।
রয়টার্স বলছে, আদেল তার পূর্বসরীদের মতোন না। ভিডিও বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রকে ভয় দেখানোর মতো কাজ করেননি তিনি। পেছনে থেকেই সবকিছু করতে পছন্দ করেন। আদেল নীরবে আল-কায়েদাকে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ানক জঙ্গি গোষ্ঠীতে রূপান্তরিত করতে ইচ্ছুক।
১৯৯৮ সালের নভেম্বরে আদেলকে জঙ্গির তালিকায় তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। কেনিয়া ও তানজানিয়ায় মার্কিন দূতাবাসে বোমা হামলায় আদেলকে অভিযুক্ত করা হয়। ওই দুই দূতাবাসে বোমা হামলায় ২২৪ জন বেসামরিক মারা গিয়েছিল। আহত হয়েছিল পাঁচ হাজারেরও বেশি।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার (এফবিআই) মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় আদেল থাকলে তার খুব কম ছবিই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রয়েছে। এর মধ্যে সাদা কালো ছবিও রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলছে, আদেল ইরানে রয়েছে। ডিপার্টমেন্ট রিওয়ার্ড ফর জাস্টিস প্রোগ্রাম আদেলের তথ্যের জন্য এক কোটি ডলার দিতে ইচ্ছুক। আদেলকে বর্তমানে আল-কায়েদার নেতৃত্ব পরিষদের সদস্য এবং জঙ্গি গোষ্ঠীটির সামরিক কমিটির প্রধান হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
ডিপার্টমেন্ট রিওয়ার্ড ফর জাস্টিস প্রোগ্রাম তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, মিসরের সামরিক বাহিনী সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইরানের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে রয়েছে। ইরানের অভিজাত ইসলামী বিপ্লবী গার্ডসের সুরক্ষায় রয়েছেন তিনি।