ইংলিশ চ্যানেলে নৌকাডুবিতে ২৭ অভিবাসনপ্রত্যাশী নিহত
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে অবৈধ পথে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার সময় নৌকাডুবিতে ২৭ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচ নারী ও এক শিশু রয়েছে। প্রথমে নিহতের সংখ্যা ৩১ বলা হলেও, পরে জানা যায়—মোট ২৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফ্রান্সের উপকূলীয় শহর ক্যালাইয়ের নিকটবর্তী জলরাশিতে নৌকাডুবির এ ঘটনা ঘটে। আহত দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মানবপাচারের এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এরই মধ্যে ফ্রান্সে চার জনকে আটক করা হয়েছে।
ব্যস্ততম ইংলিশ চ্যানেলে এটিই একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু। তবে, দক্ষিণ ইংল্যান্ড এবং উত্তর ফ্রান্সের মধ্যকার এ জলরাশি পাড়ি দিয়ে মানবপাচারের ঘটনা নতুন নয়। ধারণক্ষমতার বেশি মানুষ নিয়ে নৌকাবোঝাই করে অবৈধভাবে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার চেষ্টাকালে মানুষজনকে উদ্ধারের খবর আসে।
গত ১১ নভেম্বর এক দিনে সর্বাধিক এক হাজার ১৮৫ জন অবৈধভাবে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়। এ বছর ছোট বড় মিলিয়ে ১৭৯টি অবৈধ নৌকা জব্দ করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। এ বছর এ পর্যন্ত ২৫ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষ ইংলিশ চ্যানেল হয়ে যুক্তরাজ্যে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে। গত বছরের চেয়ে যেটি তিনগুণের বেশি।
২০১৪ সাল থেকে দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করে আসছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
মানবপাচার নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সরকারের মধ্যে শীতল সম্পর্ক রয়েছে। যথারীতি এ যাত্রায়ও একে অপরকে দোষারোপের প্রবণতা দেখা গেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
এদিকে, সর্বশেষ এই প্রাণহানির ঘটনা নিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ’র সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। দুজনের মধ্যে ফোনালাপে মানব পাচার ঠেকাতে যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে কথা হয়ে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
এ বছর দেড় হাজারের বেশি মানবপাচারকারীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিয়ান।