ইউক্রেনকে বিপুল গোলাবারুদ দেবে ইইউ
ইউক্রেনকে দেওয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ কিনতে রাজি হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো। গতকাল বুধবার (৮ মার্চ) স্টকহোমে ইইউর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকের পর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল এই পরিকল্পনার কথা জানান।
জোসেপ বরেল বলেন, গোলাবারুদ কেনার জন্য ইইউর দেশগুলো ১০০ কোটি ইউরো আর্থিক সাহায্য পাবে। তাছাড়া যৌথভাবে গোলাবারুদ কেনার জন্যও তারা ১০০ কোটি ইউরো সাহায্য পাবে।
জোসেপ বরেল বলেন, ‘বৈঠকে সাধারণভাবে গোলাবারুদ কেনা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু এখনও বেশ কিছু প্রশ্ন আছে। আমরা আবার আলাপ করব। সেখানে বিস্তারিতভাবে কথা হবে।’ আগামী ২০ মার্চ ইইউর পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকে পরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে বলে জানান তিনি।
এই প্রস্তাব প্রথমে দিয়েছিল এস্তোনিয়া। তারপর ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রেজনিকভ ইইউর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, তাদের যেন ১০ লাখ ১৫৫ এমএম গোলা দেওয়া হয়। এর দাম ৪০০ কোটি ইউরো। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং পাল্টা আঘাত হানতে এই গোলাবারুদ দরকার বলে তিনি দাবি করেছেন।
তবে জোসেপ বরেল যে পরিকল্পনা করেছেন, তাতে ইউক্রেন যে পরিমাণ গোলাবরুদ চেয়েছিল, তার অর্ধেক দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, এটাও নিঃসন্দেহে খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
মার্কিন স্পিকারকে আমন্ত্রণ জেলেনস্কির
মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ম্যাকার্থিকে ইউক্রেনে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীলরা ইউক্রেনকে সাহায্য করার ব্যাপারে খুব একটা উৎসাহ দেখাচ্ছেন না। তারপরেই সিএনএনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ‘ম্যাকার্থি একবার এসে দেখুন—আমরা কীভাবে কাজ করছি। যুদ্ধের ফলে আমাদের কী অবস্থা হয়েছে। দেশের মানুষ কীভাবে লড়ছেন। তারপর মতামত জানান।’
জেলেনস্কি বলেন, ‘আমার মনে হয়, স্পিকার ম্যাকার্থি কখনোই ইউক্রেন বা কিয়েভ আসেননি। তিনি যে পদে আছেন, তাতে তার একবার ইউক্রেন আসা জরুরি।’
ম্যাকার্থি জবাবে বলেছেন, পরিস্থিতি বোঝার জন্য তার ইউক্রেনে যাওয়ার দরকার নেই। তিনি ইউক্রেনকে সাহায্য করার বিরোধী নন। তবে বারবার মার্কিন কংগ্রেস ব্ল্যাংক চেক দেবে, এটা হয় না। আগে সবকিছু বিচার করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
মিগ-২৯ দিতে চায় পোল্যান্ড
পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ডুডা বলেছেন, তিনি ইউক্রেনকে অবিলম্বে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান দিতে প্রস্তুত। এই যুদ্ধবিমানগুলো সাবেক সোভিয়েত আমলের। সাবেক পূর্ব জার্মানির স্টক থেকে তা পোল্যান্ডকে দেওয়া হয়েছিল।
ডুডা বলেন, ‘এই যুদ্ধবিমানগুলো এখনই ব্যবহার করতে পারবেন ইউক্রেনের পাইলটরা। পাশাপাশি তাদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চালাবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হোক। পোল্যান্ডে ৩০টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান পূর্ব সীমান্তে মোতায়েন করা আছে।’
এদিকে মার্কিন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রাশিয়া আরও লম্বা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা মনে করছেন, এই বছর রাশিয়া ইউক্রেনের খুব বেশি ভূখণ্ড দখল করতে পারবে না। ফলে দীর্ঘ যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া ছাড়া তাদের সামনে আর কোনো রাস্তা নেই।