ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া : হোয়াইট হাউস
রাশিয়া ইউক্রেনে রাসায়নিক কিংবা জীবাণু অস্ত্র হামলার পরিকল্পনা করতে পারে বলে সতর্ক করেছে হোয়াইট হাউস। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি।
হোয়াইট হাউসের এই প্রেস সেক্রেটারি বলেন, ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্র জৈব ও রাসায়নিক অস্ত্রের ল্যাব থাকা এবং রাসায়নিক অস্ত্র উন্নয়নের যে দাবি রাশিয়া করেছে তা অবাস্তব।
এই মিথ্যা দাবি করে রাশিয়া তাদের পূর্বপরিকল্পত এবং উসকানিহীন হামলার যৌক্তিকতা তুলে ধরার ‘স্পষ্ট ষড়যন্ত্র’ করছে, বলেন তিনি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার নতুন করে হামলা নিয়ে পশ্চিমা কর্মকর্তাদের আশঙ্কার মধ্যে হোয়াইট হাউজ দেশটিতে রাশিয়ার এই সম্ভাব্য হামলা নিয়ে সতর্ক করল।
পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়তে পারে এবং বিশেষ করে রাশিয়ার অপ্রচলিত অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা নিয়ে তারা ‘খুবই উদ্বিগ্ন’।
এই ধরনের অস্ত্র সাধারণভাবে রাসায়নিক অস্ত্রকে বোঝালেও শব্দটি কৌশলগত (ছোট আকারের) পারমাণবিক অস্ত্র, জৈবিক অস্ত্র এবং ডার্টি বোমাকেও বুঝিয়ে থাকে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক পশ্চিমা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।’
তারা বলছেন, পশ্চিমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার আরেক কারণ হচ্ছে, রাশিয়া এর আগে যেসব জায়গায় সংঘাতে জড়িয়েছে, বিশেষ করে- সিরিয়ায় মস্কোর মিত্রদের রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
বুধবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেছেন, ‘ইউক্রেনে রাসায়নিক বা জীবাণু অস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা কিংবা এমন অস্ত্র ব্যবহার করে একটি সাজানো হামলা চালানোর বিষয়ে আমাদের সবার সতর্ক থাকা উচিত।’
এর আগে বুধবার যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক টুইটে জানিয়েছিল, রাশিয়া ইউক্রেনে থার্মোবারিক রকেট ব্যবহার করেছে। এই রকেটগুলোকে ভ্যাকুয়াম বোমাও বলা হয়। প্রচলিত বিস্ফোরকের চেয়ে এই বোমাগুলো বেশি ধ্বংসাত্মক হয় এবং মানুষের ওপর ভয়াবহ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।