ইউক্রেনে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছেন ইউক্রেনের একজন নারী আইনপ্রণেতা। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে আইনপ্রণেতা মারিয়া মেজেন্টসেভা কিয়েভের উত্তর দিকের ব্রোভারিতে সন্তানদের সামনে এক নারীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন।
মারিয়া বলেন, রুশ সেনাদের এই অপরাধ সম্পর্কে ‘চুপ থাকবে না’ ইউক্রেন। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের।
খবরে বলা হয়েছে, গত বুধবার ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেল ইরিয়ানা ভেনেদিকতোভা বলেন, ব্রোভারিতে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া ইউক্রেন রাশিয়াকে জানিয়েছে, ওই এলাকায় নিয়োজিত অভিযুক্ত রুশ সেনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে মারিয়া বলেন, ‘সম্প্রতি একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যেটা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এর কারণে ঘটনাটির তথ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং প্রসিকিউটর কার্যালয় এটা তদন্ত করছে। তবে আমরা এই ঘটনার বিস্তারিত কিছু জানাতে চাচ্ছি না।’ তাঁর অভিযোগ, কিয়েভের উপকণ্ঠে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার পর কমবয়সী সন্তানের সামনে ওই ব্যক্তির স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়।
বাবাকে গুলি করে হত্যা ও মাকে ধর্ষণের পর শিশুগুলোকে রুশ সেনারা হুমকি দেন বলেও মারিয়া মেজেন্টসেভার বরাতে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়। তিনি বলেন, ন্যায়বিচার করতে হলে এসব ঘটনার তথ্য সংরক্ষণ করা উচিত। ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নকে যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন মনে করা হয়।
মারিয়া বলেন, ‘প্রসিকিউটর জেনারেল জানিয়েছেন বলে এ ঘটনা জানতে পেরেছি। তবে এমন আরও অনেক ঘটনা রয়েছে। অনেক ঘটনা সম্পর্কে জানা যাচ্ছে না। এমন আরও ঘটনা ঘটছে বলে আমরা ধারণা করছি। ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার নারীরা কথা বলার জন্য প্রস্তুত হলে অনেক ঘটনা সামনে আসবে।’
মারিয়া আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন খবরও রয়েছে যে নারীরা দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। এসব নারীরা সাধারণত ঘর থেকে বের হতেও চাচ্ছেন না। আমরা বয়োজ্যেষ্ঠদের কথা বলছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ধর্ষণের পর এসব নারীদের হত্যা করা হয়েছে, নয়তো বাধ্য হয়ে ধর্ষণের শিকার নারীরা আত্মহত্যা করছেন।’