ইউরোপে কোভিড মহামারি অবসানের আশা দেখছে ডব্লিউএইচও
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ইউরোপে নভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য স্বস্তি ও স্থায়ী শান্তির আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ শীতের শেষ দিকে ধারাবাহিকভাবে প্রায় সব ধরনের কোভিড-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার ঘটনায় আশাবাদী আন্তর্জাতিক এ স্বাস্থ্য সংস্থা। খবর এবিসি নিউজের।
ডব্লিউএইচও’র ইউরোপ অঞ্চলের পরিচালক হান্স ক্লুগ বলেছেন, ‘এটা যুদ্ধবিরতির মতো; যা আমাদের জন্য স্থায়ী শান্তি বয়ে আনতে পারে। টিকাদানের উচ্চ হারসহ মৃদু ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্ট এবং শীতের শেষ দিকে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি চোখে পড়ার মতো।’
ক্লুগ সাংবাদিকদের বলেন, ইউরোপে করোনার গুরুতর পরিস্থিতির অবসান হয়েছে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য স্বস্তির আশা জেগে উঠেছে। এটা বলা যাবে না যে, মহামারি এখনই শেষ হয়ে গেছে। তবে, এখন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের সুযোগ রয়েছে।
তবে ওমিক্রনের চেয়ে আরও মারাত্মক ভ্যারিয়্যান্টের পুনরায় আবির্ভাব ঘটতে পারে বলেও সতর্ক করেন হান্স ক্লুগ। এর আগে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে হবে।
হান্স ক্লুগ সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আশাবাদী পরিস্থিতির মধ্যেও দেশগুলোকে টিকাদান এবং নতুন ভ্যারিয়্যান্ট শনাক্ত করতে নজরদারি অব্যাহত রাখতে হবে।
ইউরোপের আরেক দেশ সুইডেন করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটির মহামারি পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করবে। দেশটি পানশালা ও রেস্তোরাঁ থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেবে এবং সীমান্ত উন্মুক্ত করবে। এ ছাড়া ইনডোরর টিকা-পাস লাগবে না, গণপরিবহণে মাস্ক বাধ্যতামূলক থাকবে না বলে সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা এন্ডারসন বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেন।
সুইডেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী লিনা হলেনজারেন বলেছেন, সরকার মহামারি পরিস্থিতির অগ্রগতি নজরদারিতে রাখবে।
যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, ডেনমার্ক গত মঙ্গলবার বেশির ভাগ কোভিড বিধিনিষেধ তুলে নেয়। এরপর ইউরোপের আরেক দেশ নরওয়ে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে। এছাড়া ফ্রান্স গত বুধবার বিভিন্ন বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে। নিউজিল্যান্ড সীমান্তের কড়াকড়ি শিথিল করেছে।