ইফতারের পর হতে যাচ্ছে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা ভোট ইফতারের পর গড়াতে যাচ্ছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন ও ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটগ্রহণে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন চলছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অধিবেশন শুরুর পর স্পিকার আসাদ কায়সার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করেন। পরে জোহরের নামাজের বিরতির পর আবার তা শুরু হয়। পরে ইফতারের বিরতি দেওয়া হয়। পাকিস্তানের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ফের তা শুরুর কথা রয়েছে। এরপরই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সরকারের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব বিলম্বিত করার অভিযোগ এনেছেন পাকিস্তানের বিরোধীদলগুলোর নেতারা।
অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি আজকের অধিবেশনের কার্যাবলীতে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। ৩৪২ আসনের পার্লামেন্টে ১৭২ জনের বেশি সদস্য তাদের সঙ্গে রয়েছে বলে এরই মধ্যে দাবি করেছেন বিরোধী নেতারা। বিরোধীরা প্রায় সবাই অধিবেশনে হাজির হয়েছেন। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অনুপস্থিত রয়েছেন। কোরাম সংকট এড়াতে দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বিরতির পর অধিবেশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি বক্তব্য শুরু করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে তিন ঘণ্টা বক্তব্য রাখার নির্দেশনা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হামিদ মির। এর আগে তাঁর বক্তব্য দেওয়ার সময় হট্টগোল শুরু হলে অধিবেশন মুলতবি করেন স্পিকার। জোহরের বিরতির পর অধিবেশনে ফের বক্তৃতা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোরেশি।
গত ৩ এপ্রিল অনাস্থা প্রস্তাবকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে খারিজ করে দেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি। পরে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট। ওই দিনই এ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত (সুয়োমোটো) শুনানি গ্রহণ করেন সুপ্রিম কোর্ট। এরপর টানা পাঁচ দিনের দীর্ঘ শুনানি শেষে গত বৃহস্পতিবার অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ ও জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক ঘোষণা করে সর্বসম্মত রায় দেন সর্বোচ্চ আদালত। জাতীয় পরিষদ পুনর্বহাল করে আজ অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিরও নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।
আজ দুপুরের বিরতির ফাঁকে স্পিকারের চেম্বারে এক সভায় বসেন সরকার পক্ষ ও বিরোধী পক্ষের নেতারা। সরকার বিরোধীরা সেখানে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক আগানোর দাবি জানান। ওই সভায় সরকার পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি ও পিটিআই নেতা আমির দোগার উপস্থিত ছিলেন। বিরোধী পক্ষে ছিলেন বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি, রানা সানাউল্লাহ, আয়াজ সাদিক, নাভিদ কামার ও মাওলানা আসাদ মাহমুদ ছিলেন। এ সভার পর বিরোধী দলীয় নেতার চেম্বারে এক সভায় বসেন বিরোধী পক্ষের নেতারা।