ইমরানের বিরুদ্ধে ফের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে দুটি জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন দেশটির দুই আদালত। আজ সোমবার (১৩ মার্চ) ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা আদালত জামিন অযোগ্য এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর মধ্যে একটি হলো তোষাখানা মামলায় এবং অন্যটি হলো এক নারী বিচারক ও পুলিশকে হুমকি দেওয়ার মামলা। খবর ডনের।
প্রতিবেদনে পাকিস্তানের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক ডন পত্রিকাটি জানায়, গত বছর ওজরিয়াবাদে ৭০ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানকে হত্যার উদ্দেশে হামলা চালানো হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এরপর থেকে বিভিন্ন মামলার শুনানিতে আদালতে উপস্থিত হননি সাবেক এই ক্রিকেটার।
আজ পাকিস্তানের দুটি ডিস্ট্রিক্ট আদালত ও ইসলামাবাদের একটি সেশন কোর্টে ইমরানের মামলার শুনানি ছিল। তবে, পিটিটিআইয়ের প্রধান উপস্থিত হননি। তবে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবীরা নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে শুনানি থেকে ইমরানের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক জাফর ইকবালের আদালতে তোষাখানা মামলার শুনানি ছিল। আর জ্যৈষ্ঠ সিভিল বিচারক রানা মুজাহিদ রহিমের আদালতে নারী বিচারককে হুমকির মামলার শুনানি ছিল। এই দুই বিচারক ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে পুলিশকে পিটিটিআই প্রধানকে যথাক্রমে ১৮ মার্চ ও ২১ মার্চ আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার সময় ইমরান খান যেসব উপহার পেয়েছিলেন সেগুলো সরকারি তোষাখানায় জমা না দিয়ে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলার বেশ কয়েকটি শুনানিতে আদালতে হাজির হননি পিটিআই প্রধান। এর জেরে ইসলামাবাদের আদালত এর আগেও ইমরানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। সেই মামলায় আজ বিচারক জাফর ইকবালের আদালতে তোষাখানা মামলার শুনানি ছিল। তবে, আজও তিনি হাজির হননি। এর জেরে বিচারক ১৮ তারিখে ইমরানকে আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেয় পুলিশ বাহিনীকে।
ডল বলছে, ইমরান তিনবার এই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি এড়িয়ে গেছেন। এই ঘটনায় তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য ইমরানের লাহোরের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। তবে, সেই বাড়িতে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপরে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে হাজির হয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল করার জন্য আবেদন করেন। গত ৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল করে। একইসঙ্গে ১৩ মার্চ সেশন কোর্টে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেয়। তবে, আজও আদালতে হাজির হননি তিনি।
নারী বিচারক এবং জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হুমকিমূলক ভাষা ব্যবহার সংক্রান্ত একটি মামলায় ইমরানের জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন বিচারক রানা মুজাহিদ রহিম। ২৯ মার্চের আগে তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।