ইরাকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৩০, আহত ৭০০
অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাক। দেশটির প্রভাবশালী শিয়া নেতা মুক্তাদা আল-সদরের রাজনীতি থেকে অবসর ঘোষণার পরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁর সমর্থকেরা। ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে বাগদাদের সুরক্ষিত গ্রিন জোনের সরকারি ভবন এলাকায় ভাঙচুর চালান তাঁরা। বিক্ষোভ দমাতে গেলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৩০ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭০০ জনেরও বেশি। তাঁদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর শতাধিক সদস্য রয়েছেন।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানা যায়, পরিস্থিতি বিবেচনায় এরই মধ্যে বাগদাদে কারফিউ জারি করা হয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত মন্ত্রিসভার অধিবেশন স্থগিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাদিমি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আজ মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ।
মুক্তাদা আল-সদরের সমর্থকেরা তাঁর ডাকা দেশটির সংসদ ভেঙে দেওয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। চলমান আন্দোলনের ফলে দেশটি প্রায় ১০ মাস ধরে একধরনের অচলাবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে সদরের রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দেশটিতে নতুন করে রাজনৈতিক সংকট উসকে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে আলোচনার পরামর্শ দিয়েছেন জাতিসংঘে মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস। এ ছাড়া ইরাক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
গত অক্টোবরের নির্বাচনে সদরের নেতৃত্বাধীন জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও অন্য শিয়া দলগুলোর সঙ্গে বিরোধের জেরে সরকার গঠন সম্ভব হয়নি। প্রতিক্রিয়ায় পার্লামেন্ট থেকে নিজের দলের আইনপ্রণেতাদের প্রত্যাহার করে নেন তিনি। এর পর থেকে প্রতিবাদ ও অবস্থান ধর্মঘট করার মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছেন এই শিয়া নেতা।