ইরাকে লাশের সঙ্গে ছবি বিতর্ক, মার্কিন নৌবাহিনীপ্রধান বরখাস্ত
মার্কিন নৌবাহিনীর চৌকস দল নেভি সিলের এক সদস্যের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডই কাল হলো নৌবাহিনীপ্রধান রিচার্ড স্পেনসারের। যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার।
ইরাকের যুদ্ধক্ষেত্রে অসদাচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়ে পদাবনতি হয় এডওয়ার্ড গ্যালাঘার নামের একজন নেভি সিল কর্মকর্তার। লাশের সঙ্গে পোজ দেওয়ার অপরাধে পদ অবনমন হয় তাঁর। এ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
সামরিক বাহিনীর শৃঙ্খলাজনিত পর্যালোচনার মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল এডওয়ার্ড গ্যালাঘারের। নেভি সিলের সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা চলছিল।
তবে মার্কিন নৌবাহিনীপ্রধানকে কেন পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে, তা নিয়ে একাধিক বক্তব্য পাওয়া গেছে।
এসপারের ভাষ্য, জনসমক্ষে তাঁর অবস্থান এবং হোয়াইট হাউসের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত আলাপচারিতার মধ্যে সামঞ্জস্য না থাকায় নৌবাহিনী আস্থা হারিয়েছেন তিনি।
অবশ্য ট্রাম্প জানিয়েছেন, নৌবাহিনীর ‘বাড়তি ব্যয়’ এবং নেভি সিল কর্মকর্তা গ্যালাঘারের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি নাখোশ। এ কারণেই স্পেনসারকে বরখাস্ত করা হয়ে থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে এডওয়ার্ড গ্যালাঘারের বিষয়েও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
গতকাল রোববার এক টুইটে ট্রাম্প লেখেন, ‘এডি (এডওয়ার্ড গ্যালাঘার) যথাযথ ও তাঁর প্রাপ্য সম্মানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে অবসরে যাবে।’
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবর কড়া ভাষায় পদত্যাগপত্র দিয়েছেন রিচার্ড স্পেনসার।
‘শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা’ প্রসঙ্গে ট্রাম্প ও তাঁর অবস্থান ভিন্ন জানিয়ে স্পেনসার লেখেন, ‘আইনের শাসনই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করে। নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলার জোরেই সময়ের পরিক্রমায় আমরা বিদেশি অপশক্তির বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছি।’
স্পেনসার আরো লেখেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তা হলো, নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমার নিয়োগকর্তা কমান্ডার ইন চিফের (ডোনাল্ড ট্রাম্প) সঙ্গে আমার বোঝাপড়াটা আর একই রকম নেই।’
‘(নৌবাহিনীর প্রধান হিসেবে) যে পবিত্র শপথ নিয়েছিলাম, তার লঙ্ঘন হয় এমন কোনো আদেশ বিবেক থাকা অবস্থায় মানতে পারি না,’ যোগ করেন স্পেনসার।