ইরানের ওপর থেকে অবরোধ তুলে নিলেই হবে পরমাণু চুক্তি : রাইসি
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করতে অবশ্যই ইরানের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে এবং প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
উজবেকিস্তানে আল জাজিরার প্রতিনিধি রেসুল সেরদারের সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে ইরানি প্রেসিডেন্ট তেহরানের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছুতে ওয়াশিংটনের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামনা-সামনি আলোচনার সময় এখনও আসেনি।’
বৃহস্পতিবার উজবেকিস্তানের সমরখন্দে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) বৈঠকে যোগ দিতে আসা রাইসি আল জাজিরাকে আরও বলেন, ‘অবরোধ প্রত্যাহারের বিষয়টির সঙ্গে নিজেকে রক্ষার বিষয়টি চলে আসে। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের আত্মরক্ষার বিষয়টির সঙ্গে কতগুলো রাজনৈতিক বিষয় এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ জড়িয়ে আছে।’ তিনি বলেন, ‘সুতরাং, আমাদের আত্মরক্ষার ইস্যুটি চূড়ান্ত করতে হবে।’
ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘গ্যারান্টির বিষয়ে বলতে গেলে আমি বলব, যদি আমাদের বিশ্বাসযোগ্য গ্যারান্টি দেওয়া হয়, যদি আমাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়, আর তা অবশ্যই সাময়িকভাবে নয়, যদি আমাদের আত্মরক্ষার বিষয়ে একটি সমাধানে আসতে পারি, সেক্ষেত্রে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব।’
সম্প্রতি ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে গত কয়েক মাসে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা একটি পরিণতির দিকে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৫ সালের চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্টকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। এই চুক্তির আওতায় তেহরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কর্মসূচি থেকে সরে আসতে সম্মত হয় ও পরমাণু অস্ত্র তৈরি না করার প্রতিশ্রুতি দেয় তার ওপর আরোপ করা অবরোধ তুলে নেওয়ার শর্তে। পাশাপাশি চুক্তিতে ইরানকে তার তেল ও গ্যাস বিশ্ব বাজারে বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়।
২০১৫ সালে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয় ভিয়েনায়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইরান। সে সময় আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থা, আইএইএ বারবার নিশ্চিত করে আসছিল যে চুক্তির ধারা অনুসারে ইরান তার আণবিক প্রতিশ্রুতির পূর্ণ বাস্তবায়ন করে আসছিল।