ইরানের দমনপীড়ন প্রশ্নে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বিবেচনা করছে ইইউ
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মাহসা আমিনি ‘হত্যা’ ও এটি কেন্দ্র করে ইরান জুড়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভের ওপর ব্যাপক দমনপীড়ন চালানোয় তেহরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বিবেচনা করছে। মঙ্গলবার ইইউ’র বৈদেশিক নীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল একথা বলেন। এএফপির বরাতে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বোরেল ইউরোপীয় পার্লামেন্টকে বলেন, ‘মাহসা আমিনির হত্যা ও বিক্ষোভ-সমাবেশে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক দমনপীড়নের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপসহ আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সকল বিকল্পের কথা আমরা বিবেচনা করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘কঠোর পদক্ষেপ’ বলতে তিনি নিষেধাজ্ঞা আরোপকে বুঝিয়েছেন।
বোরেল ‘অসামঞ্জস্য’ ও ‘অযৌক্তিক’ হিসেবে উল্লেখ করে বিক্ষোভ-সমাবেশে চালানো ইরান সরকারের দমনপীড়নের সমালোচনা করেন। নিরাপত্তা বাহিনীর এমন দমনপীড়নের ফলে ‘শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।’ তিনি ২২ বছর বয়সী আমিনির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন। ইরানের তথাকথিত ‘নৈতিকতা পুলিশের’ হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিনি মারাত্মকভাবে আহত হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে তিনি মারা যান।
বোরেল বলেন, ‘আমিনির হত্যার প্রতিবাদে ইরান জুড়ে সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে নারীদের বিক্ষোভ-সমাবেশ আমাদের প্রশংসার দাবি রাখে।’ তিনি আরও বলেন, “দেশটির এমন পরিস্থিতিতে আমিনির মৃত্যুর ব্যাপারে ‘বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের’ এবং সরকারের জবাবদিহিতার কোন ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না। এদিকে, সরকার দেশে ইন্টারনেট ব্যাপকভাবে ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।”