ইরানের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি ইইউর
ইরানে বিক্ষোভকারীদের ওপর সরকারি নিপীড়নের প্রতিক্রিয়ায় দেশটির বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইরানের রেভুলুশনারি গার্ড আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) ভোট দিয়েছেন ইউরোপীয় সংসদের সদস্যরা।
বুধবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ৫৯৮ জন সংসদ সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র নয়টি। ৩১ জন সাংসদ ভোটদানে বিরত ছিলেন৷
অবশ্য ইইউ পার্লামেন্টের ভোটের এই সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য নয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কারণ বিষয়টি ইইউর ২৭টি সদস্যরাষ্ট্রের ঐকমত্যের ওপর নির্ভর করে।
এর আগেও আইআরজিসিকে ইইউর সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা করা হলে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে, এই যুক্তিতে সেটি করা হয়নি।
২০১৯ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটেনও কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
সন্ত্রাসী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হলে আইআরজিসিতে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি ইইউর চোখে অপরাধ বলে গণ্য হবে। এছাড়া ইইউতে থাকা সংগঠনের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। ইইউর নাগরিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আইআরজিসিকে অর্থ সহায়তাও দিতে পারবে না।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানে আটক থাকা অবস্থায় মাহসা আমিনি নামে এক তরুণীর মৃত্যুর পর দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সম্প্রতি চারজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এছাড়া আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে।