উইঘুর ‘গণহত্যা’ : শি জিনপিংকে দায়ী করছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ট্রাইব্যুনাল
চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠী উইঘুর ‘গণহত্যায়’ চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই প্রধানত দায়ী বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি বেসরকারি ট্রাইব্যুনাল। আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীদের নিয়ে ট্রাইব্যুনালটি গঠিত।
‘জিনজিয়াং নামে পরিচিত চীনের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে উইঘুর, কাজাখ ও অন্যান্য সংখ্যালঘু নাগরিকদের ওপর গণপ্রজাতন্ত্রী চীন গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও নিপীড়ন চালাচ্ছে। এসবের জন্য প্রধানত প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং গণপ্রজাতন্ত্রী চীন ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দায়ী বলে ট্রাইব্যুনাল মনে করে,’ বৃহস্পতিবার বলেছে তারা।
উইঘুর ট্রাইব্যুনাল বলছে, জিনজিয়াংয়ে জন্ম নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধ্যাকরণসহ চীন যেসব কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে, প্রধানত তার ভিত্তিতেই তারা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।
তবে ব্রিটিশ আইনজীবী জিওফ্রে নাইস নেতৃত্বাধীন এই ট্রাইব্যুনালের কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি বা শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা নেই বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর অনুমান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন জিনজিয়াংয়ে তাদের ক্যাম্পগুলোতে উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১০ লাখের বেশি মানুষকে আটকে রেখেছে।
চীন প্রথমদিকে এসব ক্যাম্পের অস্তিত্ব অস্বীকার করলেও পরে বলে, এগুলো ‘প্রশিক্ষণ শিবির’, যা উগ্রবাদ মোকাবিলার লক্ষ্যে বানানো হয়েছে। ২০১৯ সালে চীন তাদের ক্যাম্পে থাকা সবাই ‘পাস করেছে’ বলেও জানায়।
গত বছরের জুনে ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেস (ডব্লিউইউসি) ব্রিটিশ আইনজীবী নাইসকে চীনের বিরুদ্ধে উইঘুর নিপীড়নের অভিযোগ নিয়ে স্বতন্ত্র একটি ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করতে অনুরোধ জানায়।
জিনজিয়াং এবং অন্যত্র উইঘুরদের স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করা ডব্লিউইউসি ট্রাইব্যুনালের বৃহস্পতিবারের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডব্লিউইউসিকে ‘বিচ্ছিন্নতবাদী সংগঠন’ হিসেবে অভিহিত করে বলেছে, এ সংগঠনটি যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর চীনবিরোধী শক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, তাদের অর্থায়নেই চলে।
‘তথাকথিত এই আদালতের কোনো আইনি সক্ষমতা বা বিশ্বাসযোগ্যতা নেই,’ বলেছেন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র।