উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বৈঠক নিয়ে আশাবাদী দক্ষিণ কোরিয়াও
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইও জং বলেছেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত হলেই কেবল দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসা সম্ভব হতে পারে। এক বিবৃতিতে গতকাল শনিবার তিনি এ কথা বলেন। গত কয়েক দিনে এটি তাঁর দ্বিতীয় বিবৃতি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠকের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। আজ রোববার দক্ষিণ কোরিয়ার একীকরণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা শিগগিরই পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসার ব্যাপারে আশাবাদী। একই সঙ্গে উভয় দেশের মধ্যে হটলাইন সংযোগ পুনরায় চালুর প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারেও দেশটি তাগিদ দিয়েছে।
এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের যুদ্ধ অবসানে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আহ্বান জানালে গত শুক্রবার কিম ইও জং সিউলের প্রতি শত্রুতাপুর্ণ নীতি বন্ধের অনুরোধ জানান।
পিয়ংইয়ং-এর সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএন-এ প্রচারিত এক বিবৃতিতে কিম বলেন, তাঁর ভাই ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের মধ্যে কেবল তখনই আলোচনা সম্ভব, যখন পরস্পরের মধ্যে নিরপেক্ষতা ও শ্রদ্ধার বিষয়টি নিশ্চিত হবে।
কিম ইও জং আরও বলেন, শীর্ষ সম্মেলন এবং গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধের ঘোষণার জন্যে বৈঠক তাড়াতাড়ি অনুষ্ঠিত হতে পারে।
কিম ইউ জং বলেন, উত্তর ও দক্ষিণের একে অপরকে দোষারোপ করা এবং বাকযুদ্ধে লিপ্ত হয়ে সময় নষ্ট করার দরকার নেই।
এদিকে, কিম ইউ জংয়ের মন্তব্যের জবাবে আজ রোববার সিউলের একীকরণ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই আলোচনার জন্য, আন্তকোরীয় যোগাযোগ লাইনটি দ্রুত পুনসংযোগ করা প্রয়োজন। কারণ, (আলোচনায় বসতে হলে) মসৃণ ও স্থিতিশীল যোগাযোগ স্থাপন করা গুরুত্বপূর্ণ।’
পিয়ংইয়ং-এর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি দেখভালের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী পরিচালিত হটলাইনটি গত আগস্ট থেকে আর কাজে লাগানো হচ্ছে না। এর কারণ, উত্তর কোরিয়া হটলাইনে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।
দুই কোরিয়ার মধ্যে ১৯৫০ থেকে ৫৩ সাল পর্যন্ত যুদ্ধ চলে। কোনো শান্তি চুক্তি ছাড়া কেবল অস্ত্রবিরতির মাধ্যমে এ যুদ্ধ শেষ হয়। কিন্তু কার্যত অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে দেশ দুটি যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে।
এদিকে, চলতি মাসেই উত্তর কোরিয়া দূর ও স্বল্প-পাল্লার দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।
অন্যদিকে, দক্ষিণ কোরিয়া গত সপ্তাহে সাবমেরিন থেকে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। এর মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বে উন্নত এ প্রযুক্তির মুষ্টিমেয় কয়েকটি দেশের একটিতে পরিণত হয়েছে।