এখনও জয়ের অবস্থানে রয়েছেন পুতিন, বলছেন পশ্চিমা কর্মকর্তারা
রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণের প্রথম সপ্তাহে যেসব সমস্যার মুখে পড়েছিল, সেগুলোর কিছুটা সমাধান করতে পারছে বলে মনে করছেন পশ্চিমা কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন—এমন কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, যাতে বোঝা যাচ্ছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখনও ইউক্রেন যুদ্ধে জয়ের পথে রয়েছেন। খবর বিবিসির।
পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলছেন—রাশিয়া এখন নির্দিষ্ট পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এর অর্থ হলো—সেনা কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণের মতো সমস্যাগুলো আরও ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারছে তারা।
তবে, পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলছেন—রাশিয়ার দীর্ঘ সেনাবহর এখনও একই পথে যাতায়াত করছে। এতে করে তারা হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনীয় সেনারা ‘খুব স্মার্ট এবং খুব কার্যকর পদ্ধতিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে’ বলে অভিমত পশ্চিমা কর্মকর্তাদের।
রুশ বাহিনীর যোগাযোগের কিছু পথ এখনও বেশ দীর্ঘ, বিশেষ করে খারকিভ থেকে দক্ষিণে। এতে করে পশ্চিম দিক থেকে হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে তারা।
এ ছাড়া পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলছেন—ভ্লাদিমির পুতিন ‘এখনও জয়ী হওয়ার অবস্থানে রয়েছেন’ এবং যুদ্ধের সম্ভাব্য ফলাফল বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। তবে, এসবের কোনোটিই দ্রুত ঘটবে বলে আশা করেন না এই কর্মকর্তারা। পশ্চিমারা দীর্ঘ মেয়াদে ইউক্রেনকে সামরিক সমর্থন দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, ‘দীর্ঘ সময় ধরে এ সংঘাত চলবে, যা সম্ভবত এ বছরের অনেকটা সময়জুড়ে অব্যাহত থাকবে।’
দনবাসে রুশ অভিযান সফল হওয়া সম্ভব বলে মনে করেন পশ্চিমা কর্মকতারা। এবং তাঁরা বলছেন, সবচেয়ে খারাপ যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে তা হলো—এতে করে রাশিয়া তার কিছু উদ্দেশ্য হাসিল করে ফেলতে পারে, যেমন—কিয়েভ ও ওডেসা দখল করা ইত্যাদি।
পশ্চিমা কর্মকর্তারা আরও বলছেন—ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর তুলনায় রুশ বাহিনী সংখ্যায় প্রায় তিনগুণ বেশি হওয়ার সুবিধা পাচ্ছে। তবে, মস্কো কতটা বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এ বাহিনীকে ব্যবহার করছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর কতটুকু সক্ষমতা রয়েছে, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।
মারিউপোলের আশপাশে এলাকায় এখনও প্রচুর রুশ সেনা রয়েছে, যার সংখ্যা পাঁচ থেকে ১০ হাজারের মধ্যে। এর অর্থ দক্ষিণ দিকে দনবাস অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রত্যাশিত অভিযান খুব একটা আলোর মুখ দেখেনি।
এ ছাড়া পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলছেন—পুতিন যদি মারিউপোল পুরোপুরি দখল করে অবরুদ্ধ করতে চান, তা খুব সহজ হবে না। এবং এতে করে রুশ বাহিনীর দনবাস অভিযানে অংশ নেওয়ার সক্ষমতা হ্রাস পাবে।
রাশিয়ার দীর্ঘ-পাল্লার ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার গত সপ্তাহে কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমা কর্মকর্তারা। তাঁরা ধারণা করছেন, মস্কো এসব ক্ষেপণাস্ত্র কতটা ব্যবহার করবে এবং ক্ষেপণাস্ত্র পুনরায় মজুদ করা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে।