এবার উড়োজাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ধারাবাহিকতায় এবার উড়োজাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। সদ্য ছোড়া এ ক্ষেপণাস্ত্রটি একেবারে নতুন বলে জানিয়েছে দেশটি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার উড়োজাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষামূলকভাবে ছোড়া হয়। এর মধ্য দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটির কার্যকারিতা যাচাই করা হয়েছে। এতে সংযোজন করা হয়েছে নতুন কিছু প্রযুক্তি।
এর মধ্য দিয়ে এক মাসে চতুর্থ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া। গত সপ্তাহেই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফলভাবে উৎক্ষেপণের দাবি করে দেশটি। উত্তর কোরিয়া সরকারের পক্ষ থেকে নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ‘কৌশলগত অস্ত্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সাধারণত এমন ধরনের অস্ত্রে পারমাণবিক সক্ষমতা যুক্ত থাকে।
এর আগে নতুন ধরনের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে এবং একই সঙ্গে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাও এনেছে পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত দেশ উত্তর কোরিয়া।
এসব ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে দেশটি অস্থিরতা এবং নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়েই চলেছে বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পরীক্ষার ফলে অস্থিরতা এবং অনিরাপত্তার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।’
অন্যদিকে, পিয়ংইয়ং বলছে, আত্মরক্ষার্থে তাদের এসব ক্ষেপণাস্ত্রের প্রয়োজন রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিমুখী আচরণ করার অভিযোগও তুলছে উত্তর কোরিয়া।
যদিও গত মাসে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থা বলেছে, ‘উত্তর কোরিয়া রিয়্যাক্টর চালু করেছে। যেটি দিয়ে পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য প্লুটোনিয়াম উৎপাদন করা হতে পারে। এ ঘটনাকে গভীর উদ্বেগের বলে জানিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি।