সম্প্রতি মস্কোর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন ওয়াগনার সেনাদের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। রাশিয়ার সেনাদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত গোলাবারুদ ও সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ তুলে ওয়াগনার সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াগনার সেনারা আরও অস্ত্র পাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে মস্কো।

রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা ওয়াগনার আর্মির প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন রোববার (৭ মে) বলেন, মস্কো তাদের আরও অস্ত্র এবং গোলাবারুদ দেবে বলে আশ্বস্ত করেছে। বস্তুত, গত কয়েকমাস ধরে বাখমুতে ওয়াগনার সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেনের সেনাদের প্রবল লড়াই চলছে। সেখানে বহু ওয়াগনার সেনা নিহত হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই ওয়াগনার সেনাপ্রধান জানান, তাদের গোলাবারুদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ার সেনারা গোলাবারুদ না দিলে তাদের সেনাদের বাখমুত থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।

গত কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকটি ভিডিওবার্তা প্রকাশ করেছিলেন ইয়েভজিন। তিনি বলেন, রাশিয়া বাখমুতে তাদের ওপর নির্ভর করে আছে। কিন্তু তাদের কোনো ধরনের সাহায্য করছে না। এতে গোলাবারুদের অভাবে তার সেনা সদস্যদের মৃত্যু হচ্ছে। বাখমুত থেকে সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। আগামী ১০ মে সেনা ফেরানো হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

এরপরেই দ্রুত নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে মস্কো। প্রশাসন বিবৃতি দিয়ে জানায়, ওয়াগনার সেনাকে সব ধরনের সাহায্য করা হবে। তাদের গোলাবারুদ এবং অস্ত্র সরবরাহ করা হবে।

বাখমুতই ইউক্রেনের একমাত্র জায়গা, যা গত কয়েক মাসের মধ্যে দখল করতে পেরেছে রাশিয়া। তবে বাখমুত পুনরুদ্ধারের জন্য তীব্র লড়াই করছে ইউক্রেনের সেনা। ফলে গত বেশ কয়েকমাস বাখমুত কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে আছে। যুদ্ধের শুরুতে পূর্ব ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি জায়গা রাশিয়ার সেনারা দখল করেছিল। কিন্তু ইউক্রেন তার বেশ কয়েকটি জায়গা পুনরুদ্ধারের দাবি করেছে। বাখমুতকে ইউক্রেন ও রাশিয়া দুই পক্ষই কৌশলগত অঞ্চল বলে মনে করে। ফলে কোনো দেশই বাখমুত ছাড়তে চাইছে না এবং সে কারণেই যুদ্ধে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভারাটে ওয়াগনার সেনাকে ওই অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে ক্রিমিয়ায় রাশিয়া সমর্থিত প্রশাসন জানায়, ইউক্রেন তাদের সেভাসটোপল অঞ্চলে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো তথ্য জানায়নি। অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ফের ভিডিওবার্তায় জানান, ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়া সন্ত্রাস চালাচ্ছে। রাশিয়া একটি সন্ত্রাসী দেশ। রাজধানী কিয়েভে এখনও বিমান হামলা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন জেলেনস্কি।