জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং এ সংক্রান্ত সংকট থেকে বিশ্বকে বাঁচানোর লড়াইয়ে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় চলমান সম্মেলনের সম্ভাব্য চুক্তির খসড়া প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক সংস্থা।

আজ বুধবার এই চুক্তির প্রথম খসড়া প্রকাশ করা হয়। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গ্লাসগো জলবায়ু চুক্তি মূলত জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। চলমান কপ২৬ সম্মেলন শেষে এই চুক্তি ইস্যু করা হবে।

আল জাজিরা জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার গ্লাসগোর এই জলবায়ু সম্মেলন শেষ হবে। তবে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রায় ২০০ দেশের আলোচক এর আগেই এই খসড়া চুক্তিটি চূড়ান্ত চুক্তিতে রূপ দেবেন।

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি প্রতিরোধসহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এরই মধ্যে একটি লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে কাজ করছে দেশগুলো। আর তাই বিদ্যমান কর্মসূচিতে থাকা গ্যাপগুলো পূরণে আরও কী কী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত এই সম্মেলনে নেওয়া হয়, সেটির দিকে কার্যত সারা বিশ্বই তাকিয়ে আছে।

এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে সূক্ষ্ম আলোচনায় সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে এখনও বড় বিভাজন দেখা যাচ্ছে। যেসব ইস্যুতে বিভাজন দেখা দিয়েছে তার মধ্যে কার্বন মার্কেটের নিয়ম, কার্বন নিঃসরণ বন্ধের সময়সীমা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে অর্থ দেওয়ার বিষয়টি রয়েছে।

এ ছাড়া পরিবহণ ব্যবস্থা সবুজায়ন করতে বা পরিবেশবান্ধব করতে সম্মেলন থেকে একগুচ্ছ ঘোষণা দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ বিশ্বের মোট কার্বন নিঃসরণের প্রায় ২৪ শতাংশের জন্য পরিবহন সেক্টর দায়ী বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এদিকে মতপার্থক্য ভুলে বিশ্বের সব দেশকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেছেন, ‘পার্থক্য ও মতভেদগুলো একপাশে রেখে আমাদের পৃথিবী ও মানুষের স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত।’