করোনার উৎস সন্ধানে ফের ডব্লিউএইচও’র বিশেষজ্ঞ দল গঠন
করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে জানতে এবং ভবিষ্যতে মারাত্মক সংক্রামক রোগজীবাণুর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে নতুন একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। আর এটিই করোনার উৎস সম্পর্কে জানার শেষ সুযোগ হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
দ্য সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন দ্য অরিজিনস অব নভেল প্যাথোজেনস (সাগো) নামের এই বিশেষজ্ঞ দলটিতে যুক্ত হওয়ার জন্য ২৬ জনকে মনোনীত করেছে ডব্লিউএইচও। এর মধ্যে করোনার উৎপত্তি সম্পর্কে জানতে চীন ভ্রমণ করা আগের একটি বিশেষজ্ঞ দলের ছয় জন রয়েছেন।
চীনের উহান শহরে দেড় বছরের বেশি সময় আগে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হলেও এখনও স্পষ্ট নয় যে কীভাবে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে। উহানের বাজারে প্রাণীর মাধ্যমে নাকি কোনো ল্যাব থেকে ভাইরাসটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে, তা অনুসন্ধানের জন্য বিবেচনায় রাখবে বিশেষজ্ঞ দলটি।
এর আগে গত জানুয়ারিতে ডব্লিউএইচও গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ দল করোনার উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে তদন্তের জন্য চীনে যায়। পরে তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সম্ভবত ভাইরাসটি বাদুড়ের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে করোনার উৎপত্তি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আরও কাজ করা দরকার বলে জানায় বিশেষজ্ঞ দলটি।
পরে ডব্লিউএইচও’র প্রধান টেড্রোস আধানম দাবি করেন, তথ্য ও স্বচ্ছতার ব্যাপারে চীনের অসহযোগিতার জন্য তদন্তের কাজ ব্যাহত হয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাস ছাড়াও অন্যান্য উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ সংক্রামক রোগজীবাণুগুলোর উত্স সম্পর্কেও তদন্ত করবে সাগো নামের ওই বিশেষজ্ঞ দলটি।
ডব্লিউএইচও’র প্রধান বলেন, ‘ভবিষ্যতে সংক্রামক রোগজীবাণুগুলোর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সেগুলোর উৎপত্তি সম্পর্কে জানা জরুরি।’
ডব্লিউএইচও’র জরুরিবিষয়ক কার্যক্রমের প্রধান মাইকেল রায়ান বলেন, ‘সাগোর কার্যক্রম করোনাভাইরাসের উৎপত্তি সম্পর্কে জানার শেষ সুযোগ হতে পারে।’
অন্যদিকে, ডব্লিউএইচও গঠিত বিশেষজ্ঞ দল সম্পর্কে জেনেভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত চেন জু বলেন, সাগোর কাজকে ‘রাজনীতিকরণ’ করা উচিত হবে না। তিনি আরও বলেন, সময় এসেছে অন্য এলাকায় তাদের বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর।