করোনার এক ডোজের টিকার কার্যকারিতা মিলেছে
করোনার প্রথম এক ডোজের টিকা হিসেবে জনসন অ্যান্ড জনসনের (জেঅ্যান্ডজে) টিকার কার্যকারিতা মিলেছে বলে দাবি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিটি। শুক্রবার প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এমন দাবি করেছে জেঅ্যান্ডজে। বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়া মহামারি ভাইরাস মোকাবিলায় নতুন সংযোজন এক ডোজের এই টিকা। সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এসব কথা জানিয়েছে।
মূলত করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর্যায়ে ভালো কার্যকারিতা দেখা গেছে জেঅ্যান্ডজের এই টিকায়।
তবে জেঅ্যান্ডজে দেওয়া প্রাথমিক তথ্যে দেখা গেছে, তাদের টিকা ফাইজার-বায়োএনটেক বা মডার্নার দুই ডোজের টিকার মতো অতটা শক্তিশালী হবে না এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ছড়িয়ে করোনার নতুন স্ট্রেইন বা ধরনের বিরুদ্ধে অন্য টিকার তুলনায় আরো দুর্বল এই টিকা।
যুক্তরাষ্ট্র, লাতিন আমেরিকা ও দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৪ হাজার মানুষের শরীরে জেঅ্যান্ডজের এক ডোজের এই টিকার পরীক্ষা চালানো হয়। মধ্যম থেকে তীব্র পর্যায়ের কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ৬৬ শতাংশ এবং তীব্র উপসর্গ অবস্থায় ৮৫ শতাংশ কার্যকর ভূমিকা রাখছে বলে প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে। মারাত্মক কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও মেলেনি।
এ ছাড়া দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে জেঅ্যান্ডজের টিকার বেশি কার্যকারিতা মিলেছে। সেখানে টিকাটি ৭২ শতাংশ কার্যকর, লাতিন আমেরিকায় ৬৬ শতাংশ এবং দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানো দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় ৫৭ শতাংশ কার্যকর।
এ ছাড়া জেঅ্যান্ডজের এই টিকা সাধারণ ফ্রিজে রাখা যায়। তাই, বিশ্বব্যাপী বিপুল জনগোষ্ঠীর টিকা নিশ্চিতের লড়াইয়ে এটি গ্রহণযোগ্য হাতিয়ার হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রমের প্রধান ড. ম্যাট হেপবার্ন এপিকে বলেন, ‘খোলাখুলি বললে, সহজটাই সুন্দর (সিম্পল ইজ বিউটিফুল)।’
জনসন অ্যান্ড জনসনের জ্যানসেন ফার্মাসিউটিক্যাল ইউনিটের গ্লোবাল রিসার্চ চিফ ড. মাথাই মাম্মেন এপিকে বলেন, ‘এক ডোজের ওপর বাজি ধরাটা কাজেরই হয়েছে।’
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই জেঅ্যান্ডজে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে তাদের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য আবেদন করবে। জুনের মধ্যে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে ১০ কোটি ডোজ এবং বছরের শেষ নাগাদ ১০০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।