কাবুল বিমানবন্দরে ৫ জন নিহত : রয়টার্স
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিমানবন্দরে অন্তত পাঁচ জন নিহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে বলেন, তিনি পাঁচ জনের মরদেহ গাড়িতে করে নিয়ে যেতে দেখেছেন। অপর একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, নিহতেরা হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়েছিলেন, নাকি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, তা নিশ্চিত নন তিনি।
বর্তমানে কাবুল বিমানবন্দর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের দখলে রয়েছে। আজ সোমবার সকালে বিশৃঙ্খলা থামাতে ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে মার্কিন সেনারা।
নিহতের ঘটনার পর তাৎক্ষণিক কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
আফগানিস্তান ছাড়ার জন্য দেশটির রাজধানী কাবুলের বিমানবন্দরে জড়ো হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। এরই মধ্যে হুড়োহুড়ি করে সবাই একটি ফ্লাইটে ওঠার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি করেছে মার্কিন সেনারা।
সোমবার সকালে একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতেই ফাঁকা গুলি করা হয়েছে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অনেকগুলো ভিডিওতে গুলির শব্দ শোনা যায়।
জানা যাচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লাইটগুলোয় কূটনৈতিক কর্মীদের আগে সরিয়ে নিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে, যা বিশৃঙ্খলা ও বিভ্রান্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
আফগানিস্তানে আজ আক্ষরিক অর্থেই একটি নতুন দিন শুরু হয়েছে। সে দেশের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর বিজয় হয়েছে বলে দাবি করেছে তালেবান।
আফগানিস্তানে গত কয়েক ঘণ্টাজুড়ে যা ঘটেছে
আফগানিস্তানের সরকার ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
হাজার হাজার আফগান বাসিন্দা আর বিদেশি নাগরিক কাবুল থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। বিমানবন্দরে হযবরল অবস্থা তৈরি হয়েছে।
ষাটটির বেশি দেশ এক বিবৃতিতে আফগানিস্তানে নিরাপত্তা আর আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার পুনর্বহালের আহ্বান জানিয়েছে। যাঁরা চলে যেতে চান, তাঁদের নিরাপদে যেতে দেওয়ার জন্যও তালেবানের প্রতি বিবৃতিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আজ দিনের শুরুতে দূতাবাস খালি করার কাজ শেষ করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং কূটনৈতিক ভবনগুলো থেকে পতাকা নামিয়ে নিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, তাদের সৈন্যরা কাবুলের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় নারীদের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অধিকারকর্মীরা। এরই মধ্যে জানা যাচ্ছে যে, তালেবান সে দেশের অনেক এলাকায় বেশ কিছু পরিবর্তন কার্যকর করতে শুরু করেছে।