কিয়েভের কাছে আবারো সুসংগঠিত হচ্ছে রুশ বাহিনী
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উত্তর-পশ্চিমে আবারো সুসংগঠিত হচ্ছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর মস্কো দ্রুতই দেশটির রাজধানীতে হানা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বলে অনুমান করেছিল পশ্চিমা দেশগুলোর। কিন্তু সে সময় রাশিয়ার মূল আক্রমণকারী বাহিনী কিয়েভের উত্তরের এক মহাসড়কে প্রায় স্থবির হয়েই বসে ছিল।
তবে বেসরকারি মার্কিন উপগ্রহ কোম্পানি মাক্সারের সাম্প্রতিক ছবি বলছে, রুশ সাঁজোয়া যানের ইউনিটগুলো এখন কিয়েভের উত্তর-পশ্চিমের হোস্তমেলে অবস্থিত আন্তোনভ বিমানবন্দরের কাছের এলাকাগুলোতে ঢুকে পড়েছে ও চলাচল করছে।
যুদ্ধের প্রথম কয়েক ঘণ্টায় রাশিয়া ছত্রীসেনা নামানোর পর থেকে ওই এলাকাগুলোতে তুমুল লড়াইয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছিল। খবর রয়টার্সের।
এর ঠিক উত্তরে লুবিয়াঙ্কার কাছে ছোট ছোট এলাকায়ও বেশ কিছু সামরিক উপকরণ মোতায়েন রয়েছে, ছোট বড় কামানগুলোকে প্রস্তুত অবস্থায় অবস্থায় দেখা যাচ্ছে, জানিয়েছে মাক্সার।
‘রাশিয়া সম্ভবত আগামী দিনে নতুন করে আক্রমণ চালাতে তার বাহিনীকে পুনরায় সংগঠিত করছে। এসব আক্রমণের মধ্যে রাজধানী কিয়েভে অভিযানও আছে,’ গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
তাদের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, রসদ ঘাটতি সংক্রান্ত সমস্যা ও ইউক্রেইনীয়দের তীব্র প্রতিরোধের মুখে রাশিয়ার স্থলবাহিনীর অগ্রগতি এখন পর্যন্ত ধারণার তুলনায় সামান্যই।
ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফও বলছে, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর রাশিয়ার বাহিনী ফের সংগঠিত হচ্ছে।
এদিকে টানা সপ্তম দিনের মতো রাশিয়া অবরুদ্ধ বন্দরনগরী মারিওপোল থেকে বেসামরিকদের বের হওয়ার সুযোগ দিতে অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করেছে।
শহরটি থেকে সাধারণ মানুষকে বাইরে সরিয়ে নিতে আরেকবার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনও।
উল্লেখ্য, বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে পারেনি এবং মস্কো থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।