কিয়েভসহ ইউক্রেনের কয়েকটি শহরে রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে উপর্যুপরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ হামলা চালানো হয় বলে খবর রয়টার্সের। কিয়েভ ছাড়াও কৃষ্ণ সাগর তীরের বন্দরনগরী ওডেসা এবং খারকিভের আরেকটি শহরেও ব্যাপক হামলার খবর পাওয়া গেছে।
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ইউক্রেনের কেন্দ্রে অবস্থিত পোলটাভা এবং ডিনিপ্রো শহরের পশ্চিমে ঝিটোমির, ভিনিৎসিয়া, রিভনে শহরজুড়েই হামলা চালানো হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সামরিক বেসামরিক স্থাপনা। এসব শহরের বাসিন্দারা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় শহরগুলোতে অন্ধকার নেমে এসেছে।
ওডেসার গভর্ণর ম্যক্সিম মার্চেঙ্কো জানিয়েছেন নগরীর একটি জ্বালানি স্থাপনায় ব্যাপক হারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। আবাসিক এলাকাগুলোও রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যরস্তুতে পরিণত হয় বলেও জানান তিনি। এতে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে শহরটি।
খারকিভ অঞ্চলের গভর্ণর ওলেহ সিনেহুবোভ জানিয়েছেন শহরসহ অঞ্চলটির বিভিন্ন স্থাপনায় অন্তত ১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।
ওদিকে বাখমুতেও রুশ বাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে ইউক্রেন সেনাদের। বাখমুত দখলে রাশিয়ানদের বেশ কয়েকটি তীব্র আত্রমণ ভেস্তে দিয়ে তাদেরকে বাখমুত থেকে পিছু হাটানোর দাবিও করেছেন তারা।
গতকালই রাশিয়ার বেসরকারি ভাড়াটে সৈন্যদল ওয়াগনার গ্রুপ বাখমুতের পশ্চিমাঞ্চলের অর্ধেক দখলের দাবির পরদিনই পাল্টা এমন দাবি করল ইউক্রেন বাহিনী।
ওয়াগনার প্রধান এবং ক্রেমলিন মিত্র ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বুধবার সামাজিক মাধ্যমে বলেন, তার বাহিনী ‘বাখমুতের পূর্ব অংশের সব এলাকা দখল করে নিয়েছে।’ লবণ-খনির এ শহরে যুদ্ধের আগে ৮০ হাজার মানুষের বসবাস ছিল।
অপরদিকে সামরিক জোট ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ বুধবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, কয়েক মাসের তীব্র লড়াইয়ের পর আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুত নগরীর নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার বাহিনীর হাতে চলে যেতে পারে।