কিয়েভে পৌঁছেছেন ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির রাষ্ট্রপ্রধান
ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির নেতারা যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে পৌঁছেছেন। তাঁরা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
এলিসি প্রাসাদের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির কাছে ‘ইউরোপীয় একতার’ বার্তা নিয়ে এসেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য হওয়ার বিষয়ে পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের আগ্রহ নিয়ে যে আলোচনা হবে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
ইউরোপীয় কমিশনে ইইউ’র সদস্য-প্রার্থী হিসেবে ইউক্রেনকে নিয়ে সুপারিশ করার এক দিন আগে জোটের তিন গুরুত্বপূর্ণ নেতারা কিয়েভে এলেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী ইউক্রেনে পরাশক্তি রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর চার দিন পর ইউক্রেন ইইউয়ের সদস্য-আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করে।
এদিকে, গতকাল বুধবার রোমানিয়ায় এক বক্তৃতায় ম্যাক্রোঁ বলেন, ইউরোপের জন্য সময় এসেছে ইউক্রেনকে তার ইইউ উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিষয়ে আশ্বস্ত করার।
বিশদ বিবরণ না দিয়ে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমরা এমন এক পর্যায়ে আছি, যখন আমাদের স্পষ্ট রাজনৈতিক সংকেত পাঠাতে হবে।’
ইউক্রেন এবং এর জনগণ রাশিয়ার বিরুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
নিজেদের স্বার্থ রক্ষা, অস্ত্র সরবরাহে ধীরগতি এবং ইউক্রেনের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার বিষয়ে প্রত্যাশিত সমর্থন না পেয়ে ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির সমালোচনা করে আসছে কিয়েভ।
এ সপ্তাহে জার্মান সংবাদপত্র বিল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্টোভিচ বলেছেন, এ তিন নেতা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অনুকূলে একটি শান্তি চুক্তি মেনে নিতে কিয়েভকে চাপ দিতে পারেন।
এদিকে, জেলেনস্কি রুশ আক্রমণকারীদের মোকাবিলায় সহায়তার জন্য এ তিন নেতাকে আরও অস্ত্র পাঠাতে আহ্বান জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।