কে পেতে যাচ্ছেন তুরস্কের মসনদ
তুরস্কের নির্বাচন আজ রোববার (১৪ মে) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজকের এই নির্বাচনকে দেশটির আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন মনে করা হচ্ছে। কারণ, এই নির্বাচন বলে দেবে, দুই দশক ধরে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের মুঠোয় থাকা তুরস্কের মসনদটি কার হচ্ছে? ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ান থাকবেন, নাকি পরিবর্তন ঘটিয়ে আসবেন পাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) কেমাল কিলিকদারোগলু।
নির্বাচন পূববর্তী জরিপে, সিএইচপির কেমাল কিলিকদারোগলু এগিয়ে থাকলেও নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে এগিয়ে রয়েছেন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
তুরস্কের আইন অনুযায়ী, স্থানীয় সময় রাত ৯টার আগে নির্বাচনের কোনো ফলাফল ঘোষণা করা হবে না। তবে, সেই আইনে আজ পরিবর্তন এনেছে দেশটির নির্বাচন বোর্ড। এর ফলে আগে থেকেই দেখা যাচ্ছে ফলাফল।
তুরস্কের স্থানীয় গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহয়ের তথ্য মতে, আজকের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট পড়েছে মোট ভোটারের ৮৮ দশমিক তিন শতাংশ। অর্থাৎ, ভোট দিয়েছেন ছয় কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৬৫১ জন ভোটার। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মধ্যে ৪৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ ব্যালটের ভোট গণনা হয়েছে। এর মধ্যে ৫২ দশমিক ১৯ শতাংশ বা এক কোটি ২৮ লাখ ৪৭ হাজার ৭০৬ ভোট পেয়ে শীর্ষে রয়েছেন এরদোয়ান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিকদারোগলু পেয়েছেন এক কোটি তিন লাখ তিন হাজার ৭৭৪ ভোট বা ৪১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া মুহেরেম পেয়েছেন এক লাখ ৩১ হাজার ৬৭৯ ভোট বা শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশ। আরেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সিনান ওয়াগান পেয়েছেন পাঁচ দশমিক ৩৩ শতাংশ বা ১৩ লাখ ১০ হাজার ৮০৭ ভোট।
এদিকে, পার্লামেন্ট নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ছয় কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৬৫১ বা ৮৫ দশমিক সাত শতাংশ ভোট। ইতোমধ্যে ২৯ দশমিক ৯১ শতাংশ ব্যালটের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এতেও এগিয়ে আছে এরদোয়ানের একে পার্টির জোট। এরদোয়ানের পিপলস অ্যালায়েন্স জোট পেয়েছে ৩৪৯টি আসন। আর কিলিকদারোগলুর ন্যাশনস অ্যালায়েন্স পেয়েছে ১৯৬টি আসন। আর অন্যান্য দল পেয়েছে ৫৫টি আসন।
এদিকে, প্রাথমিক ফলাফলে এগিয়ে থাকার দাবি জানিয়েছেন কিলিকদারোগলু। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এক পোস্টে এই দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। পোস্টে কিলিকদারোগলু লেখেন, ‘আমরা এগিয়ে রয়েছি।’ এর আগে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থায় প্রকাশিত ফলাফলকে প্রভাবিত বলে জানায় কিলিকদারোগলু।