কে হবেন নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী? শুরু হয়েছে জল্পনা
দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় নাটকীয়ভাবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের পদত্যাগের ঘোষণার পর এখন কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী কে হতে চলেছেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। পার্টি যাকে নেতা নির্বাচন করবে তিনিই হবেন যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
লিজ ট্রাস জানিয়েছেন, টোরি (কনজারভেটিভ) দলের নেতা নির্বাচন আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সম্পন্ন হবে।
তেমন হলে নির্বাচনী ফল ঘোষণা আগামী সপ্তাহের শুক্রবারেই হতে পারে বলে আশা করছেন ১৯২২ কমিটি চেয়ারম্যান গ্রাহাম ব্র্যাডি। খবর বিবিসির।
বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কির স্টারমারসহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ট্রাসের পদত্যাগে অবিলম্বে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছে।
কিন্তু ট্রাস বলছেন, একজন উত্তরসূরি আনুষ্ঠানিকভাবে দলের নেতৃত্ব নেওয়া এবং রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ না পাওয়া পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকবেন।
টোরি নেতা নির্বাচনে লড়ার জন্য সবার কাছে পছন্দনীয় এমন কোনও সুস্পষ্ট প্রার্থী এখনও নেই। তবে বুকমেকারদের পছন্দের তালিকায় আছেন- ঋষি সুনাক, পেনি মর্ডান্ট এবং বেন ওয়ালেস।
গতবারের টোরি নেতা নির্বাচনে সাবেক চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক ছিলেন লিজ ট্রাসের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। তাঁকে হারিয়েই ট্রাস কনজারভেটিভ নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।
অন্যদিকে, তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট পঞ্চম দফা ভোটেই প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়েছিলেন। আর প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস গতবারের টোরি নেতা নির্বাচনের লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন।
ঋষি সুনাক এবং পেনি মর্ডান্টকে এবারও প্রার্থী হিসাবে দেখা হচ্ছে। তবে অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট এবার প্রতিদ্বন্দ্বিায় না নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গতবার দলীয় নির্বাচনী দৌড়ে নেমে তিনি প্রথম দফা ভোটেই বাদ পড়ে গিয়েছিলেন।
ওদিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবার আবার প্রধানমন্ত্রী পদের লড়াইয়ে নামার পরিকল্পনা করেছেন। কিন্তু তাঁর আবার ফিরে আসাটা টোরি এমপিদের জন্য ‘খুবই উদ্বেগজনক’ হতে পারে বলেই মনে করছেন ভোট বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জন কার্টিস।
কারণ, তিনি বলেন, বরিস জনসনের বিরুদ্ধে এখনও পার্লামেন্টারি কমিটির তদন্ত চলছে। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে জনসন ডাউনিং স্ট্রিটে পদপানের পার্টি করা নিয়ে হাউজ অব কমন্সকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্ত করেছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখতেই চলছে এ তদন্ত।
তাই তার প্রধানমন্ত্রীত্বের দৌড়ে সামিল হওয়ার ক্ষেত্রে সবাইকে এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে বলেই মনে করেন কার্টিস। তাঁর মতে বরং ঋষি সুনাক, পেনি মর্ডান্ট, সুয়েলা ব্রাভারম্যানই যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য বেশি সঠিক এবং সম্ভাবনাময় প্রার্থী।