কোভিডে দুর্দশা বাড়লেও টিকা পাওয়া নিয়ে তাগিদ নেই উত্তর কোরিয়ার
উত্তর কোরিয়ায় চলতি সপ্তাহে দেশটিতে এক রহস্যজনক ‘গুরুতর ঘটনা’ ঘটেছে বলে জানিয়েছে, যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে—সে দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বড় ধরনের অবনতি হয়েছে। সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা এ খবর জানিয়েছে।
উত্তর কোরিয়া একসময় নিজেদের করোনামুক্ত দেশ বলে দাবি করতো, তবে এখন তারা নিয়মিতই ভয়াবহ মহামারি সম্পর্কিত সংকটের কথা স্বীকার করে। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সম্প্রতি তাঁর দেশে খাদ্য সংকটের কথাও স্বীকার করেছেন, যাকে তিনি ১৯৯০ সালের ভয়ংকর দুর্ভিক্ষের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
তবে, উত্তর কোরিয়ায় করোনা সংকট কতটা ভয়াবহ, তা জানা সম্ভব নয়। কারণ, উত্তর কোরিয়ার কোনো তথ্য বহির্বিশ্বের জন্য নিষিদ্ধ। তবে, ক্রমে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে উঠছে যে, দুর্দশা কাটিয়ে উঠতে উত্তর কোরিয়া কোভিড টিকা গ্রহণের আন্তর্জাতিক প্রস্তাব গ্রহণের পথে রয়েছে।
জাতিসংঘ সমর্থিত আন্তর্জাতিক টিকা কর্মসূচি কোভ্যাক্স-এর দেওয়া টিকা গ্রহণে উত্তর কোরিয়া কোনো ধরনের উদ্যোগ নেয়নি। দরিদ্র দেশগুলোর সহায়তায় জনপ্রিয় এই কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় বহু দেশ টিকা পেতে যাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়া ও কোভ্যাক্স প্রকল্প পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান গ্যাভি’র মধ্যকার আলোচনা কয়েক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। কারণ, উত্তর কোরিয়া টিকা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সাতটি প্রশাসনিক পদক্ষেপের মাত্র দুটি সম্পন্ন করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র ভয়েস অব আমেরিকা বলে, উত্তর কোরিয়া যদি কাগজপত্র দ্রুত সম্পন্ন করে জমা দিত, তাহলে কিছু টিকা এতদিনে সহজলভ্য হতো। কতটুকু হতো, তা বলা মুশকিল তবে, গ্যাভির নির্দেশমতো কাগজপত্র জমা দিলে এতদিনে উত্তর কোরিয়া টিকা পেয়ে যেত।
গ্যাভি কর্তৃপক্ষ অবশ্য উত্তর কোরীয় সরকারের সঙ্গে তাদের আলোচনার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। গ্যাভির মুখপাত্র জানান, উত্তর কোরীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ভ্যাকসিন সরবরাহের সম্ভাবনা বাড়লে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে। গ্যাভি মার্চ মাসে উত্তর কোরিয়াকে মে মাসের মধ্যে ১০ লাখ ৭০ হাজার টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল।