কোভিড বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড
মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাসহ কোভিড-১৯ মহামারিকালে দেওয়া সব বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। তবে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আর, বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন—এমন সিদ্ধান্তে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট সৃষ্টির ঝুঁকি তৈরি হলো। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা ও বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ইংল্যান্ডে এখন থেকে কত মানুষ একসঙ্গে দেখা করতে পারবেন কিংবা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন, তার কোনো বাঁধাধরা সংখ্যা নির্দিষ্ট থাকছে না। নৈশক্লাবগুলো পুরোদমে চালু করা যাবে। পানশালা কিংবা রেস্তোরাঁয় টেবিল সার্ভিসের প্রয়োজন হবে না। এ ছাড়া কিছু স্থানে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে, তবে এর জন্য কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। খুলছে থিয়েটার ও সিনেমা হলও।
এদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, চ্যান্সেলর ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিভৃতবাসে রয়েছেন। এবং দেশটিতে করোনার সংক্রমণ আবার বাড়তে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা।
যুক্তরাজ্যে বর্তমানে দৈনিক প্রায় ৫০ হাজার করে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের একাংশের ধারণা—গ্রীষ্মের শেষদিকে সংক্রমণের এই হার দৈনিক দুই লাখে পৌঁছাতে পারে।
তবে, যুক্তরাজ্যে ৬৮ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ করোনার দুই ডোজ টিকা পেয়েছে। এতে করে করোনায় আগের তুলনায় হাসপাতালে ভর্তি, গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুহার কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে স্থানীয় সময় রোববার টুইটারে একটি ভিডিও পোস্টে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার চূড়ান্ত ধাপে পা রাখার এখনই ‘সঠিক সময়’। তিনি বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত যদি আমরা এখন না নিতে পারি, তাহলে আমাদের নিজেদের কাছে প্রশ্ন করতে হবে—তাহলে আমরা কখন লকডাউন তুলে নিতে পারব?’
এ ছাড়া করোনাভাইরাস শরৎকাল ও শীতে ‘ঠান্ডা আবহাওয়ার সুযোগ নিতে পারে’ বলে মনে করেন বরিস জনসন।
‘তবে খুব সাবধানতার সঙ্গে আমাদের (লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিলের) কাজটি করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে—দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ভাইরাসটি এখনও রয়ে গেছে। সংক্রমণ বাড়ছে। ডেলটা ভ্যারিয়্যান্টের সংক্রমণের তীব্রতা আমরা দেখতে পাচ্ছি’, যোগ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।