ক্রিমিয়ায় ড্রোন হামলায় পুড়ল ৪০ হাজার টন তেল
রাশিয়ার অধিকৃত ক্রিমিয়ার বন্দর শহর সেভাস্তোপোলের একটি জ্বালানি সংরক্ষণাগারে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। আজ শনিবারের (২৯ এপ্রিল) এই হামলায় বিশাল অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে কেউ হতাহত হয়নি। কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে তাও জানা যায়নি। তবে, আগুন নেভানো গেছে বলে জানিয়েছে ক্রিমিয়ায় নিযুক্ত রুশ গভর্নর মিখাইলি রাজভোজাহেভ। খবর রয়টার্সের।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে মিখাইলি লেখেন, ‘বিশেষজ্ঞরা জ্বালানি সংরক্ষণাগার পরিদর্শন করেছেন। সংরক্ষণাগরের মূল স্থলে একটি ড্রোন আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। আরেকটি ড্রোন আঘাত হানার আগেই ভূপাতিত করা হয়েছে। সংরক্ষণাগারের কাছের টার্মিনালে ড্রোনের অংশ বিশেষ পাওয়া গেছে।’
ইউক্রেনের গণমাধ্যম আরবিসির বরাতে রয়টার্স বলছে, সেভাস্তোপোলের আগুনে ১০ ট্যাংকের বেশি জ্বালানি পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় বাহিনীর একজন জ্যৈষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা। ইউক্রেনীয় বাহিনীর গোয়েন্দা অ্যান্ড্রি ইউসভ বলেন, ‘কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার নৌবহরে ব্যবহারের জন্য রাখা ৪০ হাজার টন তেল পুড়ে গেছে।’ তবে, হামলার জন্য কিয়েভ দায়ী কি না সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি। এই বিস্ফোরণকে ‘সৃষ্টিকর্তার সাজা’ বলে আখ্যা দিয়েছে অ্যান্ড্রি ইউসভ। তার মতে, শুক্রবার ইউক্রেনে রুশ হামলার জন্য রাশিয়াকে সাজা দিয়েছে সৃষ্টিকর্তা।
ক্রিমিয়ার রাশিয়ার নিযুক্ত আঞ্চলিক নেতা সের্গেই আকসিওনভ টেলিগ্রামে এক পোস্টে বলেছেন, শনিবার আকাশ প্রতিরক্ষা এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধ বাহিনী ক্রিমিয়ান উপদ্বীপের ওপর দুটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
২০১৪ সালে সামরিক অভিযান চালায় রাশিয়া। পরে এক গণভোটের মাধ্যমে ক্রিমিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার অংশ করে নেয় পুতিন সরকার। তবে, এই গণভোট ও এর ফলাফলকে ইউক্রেন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকৃতি দেয়নি। এরপর থেকেই ক্রিমিয়া উপদ্বীপের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার হাতে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন চালানোর পর থেকেই হামলার শিকার হয়েছে ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপোল।