খালেদা জিয়া সুচিকিৎসা পাবেন, জাতিসংঘের আশা
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা প্রাপ্তি এবং তাঁর স্বাস্থ্য যেন ঝুঁকিতে না পড়ে সে আশা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। শুক্রবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার বেশি কিছু বলার নেই। তবে আমরা অবশ্যই আশা করি যে, তিনি (খালেদা জিয়া) সুচিকিৎসা পাবেন এবং তাঁর স্বাস্থ্যের কোনো ধরনের ক্ষতি হবে না, যেমনটি আমরা যে কারো ক্ষেত্রেই বলে থাকি।’
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর থেকে তিনি গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। করোনায় আক্রান্তের ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর দ্বিতীয়বার খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট করা হয়। কিন্তু আবারও ফলাফল পজিটিভ আসে। এরপর ২৭ এপ্রিল রাতে তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। শ্বাসকষ্টজনিত কারণে গত ৩ মে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। এখনো তিনি সেখানেই আছেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে নেওয়ার সুযোগ দিতে সরকারের কাছে আবেদন জানান পরিবারের সদস্যরা।
এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শনিবার দুপুরে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার আবেদনের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় আজই আইনি মতামত জানাবে। আগামীকাল রোববার সকালে সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এখানে আদালতের মতামতের প্রয়োজন নেই। আইনে তা বলে না। এর মানে তারা, অর্থাৎ সরকার যে মতামত দেবে, সেটিই চূড়ান্ত মতামত হবে। তবে কী অভিমত দেওয়া হচ্ছে, সেটি বলেননি তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে সরকারের কাছে করা আবেদন যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আবেদনের গুরুত্ব বিবেচনা করে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে।
আনিসুল হক বলেন, গত বুধবার রাত ১১টার দিকে আমাদের মন্ত্রণালয়ের সচিবের হাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত আবেদনটি পৌঁছেছে। আইনি দিক বিশ্লেষণ করে এবং মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষে আমরা খুব তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেব আশা করছি।