খেরসনে রুশ সেনা প্রত্যাহারে ইউক্রেন গর্বিত হলেও এখনো সতর্ক
ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ নগরী খেরসন ছেড়ে যেতে শুরু করেছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের জন্য এটি নিশ্চিতভাবে গর্বের বিষয় হলেও রুশ সেনা প্রত্যাহার নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ না করে সর্তক অবস্থান নিয়েছে দেশটি।
ইউক্রেনের জনপ্রিয় ব্লগার এবং প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্ট্রোভিচ ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, হয়ত ইউক্রেনের সেনাবাহিনীই রাশিয়াকে সেনা প্রত্যাহারে বাধ্য করেছে। রাশিয়ার সেনারা খেরসন ছেড়ে যায়নি। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী তাদের খেরসন থেকে বের করে দিয়েছে।
তবে নিপ্রো নদীর ডান পাড়ে যেখানে খেরসন নগরীর অবস্থান সেখানে আরও কিছুদিন যুদ্ধ চলবে বলেই বিশ্বাস এই ব্লগারের।
ওদিকে, ইউক্রেনের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ইউক্রেনস্কা প্রাভদা’ রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণাকে তাদের ‘চালাকি’ কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
তাদের খবরে বলা হয়, ‘যদি শোইগুর (রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী) বক্তব্য সত্য হয়, তবে (নিপ্রো নদীর) বাম পাড় অতিক্রম করতে রুশ বাহিনীর অন্তত কয়েকদিন লাগার কথা।’
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভও রাশিয়ার সেনা সরানোর প্রকাশ্য নির্দেশ নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করেছে। কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, রাশিয়া খেরসনকে ‘মৃত্যু নগরীতে’ পরিণত করতে পারে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ ভালেরি জালুঝনি অবশ্য রুশ সেনাদের খেরসন ছেড়ে যাওয়া বা না যাওয়ার বিষয়ে কোনওে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি শুধু বলেছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় তার বাহিনী বড় অগ্রগতি অর্জন করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী খেরসন নগরী থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তরের গুরুত্বপূর্ণ শহর স্নাইহুরিভকা পুনর্দখলের ঘোষণা দিয়েছে।
স্নাইহুরিভকা শহরটি খেরসন অঞ্চলের ঠিক বাইরে। প্রতিবেশী মিকোলাইভ এলাকার বৃহৎ রেলস্টেশনগুলোর একটি এটি। গত সেপ্টেম্বর মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন খেরসনের যেসব এলাকা রাশিয়া সঙ্গে সংযুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন সেগুলোতে স্নাইহুরিভকাও ছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় নিপ্রো নদীর পশ্চিম পাড়ে দুইটি যুদ্ধক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জনের ঘোষণাও দিয়েছেন জেনারেল জালুঝনি।
তিনি বলেছেন, তার বাহিনী নিজেদের অবস্থান থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে সাত কিলোমিটার অগ্রসর হয়েছে। এদিক দিয়ে তারা বেরিস্লাভার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।