লিবিয়ায় আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দেশটির প্রয়াত শাসক মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল-ইসলাম গাদ্দাফির প্রার্থিতা পুনর্বহাল করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার লিবিয়ার একটি আদালত তাঁকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে বৈধ ঘোষণা করেন।

এর ফলে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সাইফ আল-গাদ্দাফির সামনে আর কোনো বাধা থাকল না। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সপ্তাহখানেক আগে সাইফ আল-গাদ্দাফিকে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেছিল দেশটির ইলেকশন কমিশন। ফলে সংঘর্ষপীড়িত এ দেশটিতে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।

মোয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলের আইনজীবী খালেদ আল-জাইদি জানিয়েছেন, সাইফ আল-ইসলাম গাদ্দাফি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন বলে লিবিয়ার একটি আদালত রায় দিয়েছেন। দেশটিতে এক দশকের বিশৃঙ্খলা অবসানের লক্ষ্যে একটি নির্বাচন পরিচালনার বিষয়ে বিতর্ক তীব্র হওয়ায় আদালত ওই রায় দেন।

আগামী ২৪ ডিসেম্বর লিবিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে সাইফ গাদ্দাফিকে অযোগ্য ঘোষণা করে হলে, তিনি এর বিরুদ্ধে আপিল করেন। তবে যোদ্ধারা আদালত অবরুদ্ধ করে রাখায় সে আপিল নিষ্পত্তি হতে বেশ কয়েকদিন বিলম্ব হয়। এটিকে নির্বাচনে ব্যাপক অস্থিরতার পূর্বাভাস বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

লিবিয়ার নির্বাচন কমিশন বলেছে, বৃহস্পতিবার অন্য এক ঘটনায় সশস্ত্র ব্যক্তিরা দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় পাঁচটি নির্বাচনী কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ব্যালট চুরি করেছে। মূলত যুদ্ধরত পূর্ব ও পশ্চিম অংশের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরীর জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠনের চেষ্টা করতেই এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনের দাবি ছিল, সাইফ আল-ইসলাম গাদ্দাফি আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি। ২০১১ সালে লিবিয়ায় বিদ্রোহের সময় গাদ্দাফির ছেলে যুদ্ধাপরাধ করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। ২০১৫ সালে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন এবং আদালত তাঁর মৃত্যুদণ্ড দেয়। সাইফ গাদ্দাফি অবশ্য দাবি করে আসছেন, তিনি নির্দোষ।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সাইফ গাদ্দাফির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে।