গুলিবিদ্ধ শিনজো আবে মারা গেছেন
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। জাপানের গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। এর আগে আবের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জাপানের স্থানীয় গণমাধ্যম কিয়োডোর খবরে বলা হয়েছিল।
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে আজ শুক্রবার গুলি করা হয়েছিল। গুলিবিদ্ধ আবেকে দেশটির নারা শহরের স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
আবের ছোট ভাই এবং দেশটির বর্তমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নোবুও কিসি জানিয়েছিলেন, শিনজো আবেকে রক্ত দেওয়া হচ্ছে।
একটি ভবন থেকে শিনজো আবেকে গুলি করা হয়। তাঁর ঘাড়ে ও বুকে গুলি লাগে বলে জানায় কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিসিদা এ আক্রমণকে ‘গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আক্রমণ’ এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার দমন বলে উল্লেখ করেছেন।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরেই আবের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা।
আজ শুক্রবার সকালে পশ্চিম জাপানের নারা শহরে ভাষণ দেওয়ার সময় হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য জাপান টাইমস। এরপর আবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য আসাহি শিম্বুন’ জানিয়েছে, আবের ওপর হামলার ঘটনায় ৪১ বছর বয়সি এক সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে।
জানা গেছে, জাপানের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারা শহরের কিনটেটসু লাইন এলাকার ইয়ামাতো সাইদাইজি স্টেশনের সামনে প্রচার কর্মসূচিতে বক্তব্য দিচ্ছিলেন শিনজো আবে। এ সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতলে নেওয়া হয়।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর শিনজো আবে কার্ডিওপালমোনারি তথা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন টোকিওর সাবেক গভর্নর ইয়োচি মাসুজো। বিবিসি জানিয়েছে, জাপানে আনুষ্ঠানিকভাবে হৃদরোগে মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার আগে সাধারণত এই ‘কার্ডিওপালমোনারি’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
উল্লেখ্য, জাপানে বন্দুক সহিংসতার ঘটনা বিরল। কেননা, দেশটিতে হ্যান্ডগান নিষিদ্ধ।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শিনজো আবে। তিনি ২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।